কলম্বিয়ার মাঠে আর্জেন্টিনার কঠিন পরীক্ষা

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি আর্জেন্টিনার। তিন ম্যাচের একটিতে হার এবং দুটিতে ড্রয়ের ফলে দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সংগ্রহ মাত্র দুই পয়েন্ট। এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্স ১০ দলের লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে আর্জেন্টিনাকে নামিয়ে দিয়েছে নবম স্থানে। অস্বস্তিকর সময়ে আর্জেন্টাইনদের আবার মাঠে নামতে হচ্ছে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে মঙ্গলবার রাতে তাদের প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া। ম্যাচটা কলম্বিয়ার মাঠে বলে ম্যারাডোনার দেশের পরীক্ষাটা একটু বেশিই কঠিন।
বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচেই ইকুয়েডরের কাছে ২-০ গোলে হেরে যাওয়ার পর প্যারাগুয়ে ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে ড্র করেছে আর্জেন্টিনা। আর তাই পয়েন্ট টেবিলে তাদের এমন শোচনীয় অবস্থা। ভীষণ চাপের মধ্যে থাকা কোচ জেরার্দো মার্তিনো কলম্বিয়া সফরে জয় পেতে মরিয়া, ‘পয়েন্ট টেবিলের দিকে তাকিয়ে নিজেদের যে অবস্থা দেখতে পাচ্ছি তা মোটেই প্রীতিকর নয়। আমাদের কলম্বিয়াকেই হারাতে হবে। আমরা এখানে জয়ের জন্য এসেছি। মানসিকভাবে উজ্জীবিত হওয়ার জন্য জয়টা খুব জরুরি।’
গত শনিবার ব্রাজিলের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লিওনেল মেসি, সার্জিও অ্যাগুয়েরো ও কার্লোস তেভেজ খেলতে পারেননি। কলম্বিয়ার মাঠেও আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগের তিন স্তম্ভকে পাচ্ছেন না মার্তিনো। আর্জেন্টিনার কোচকে দলের তিন তারকার অভাব পূরণ করতে হচ্ছে অ্যাঞ্জেল দি মারিয়া, এজেকিল লাভেজ্জি ও গনজালো হিগুয়াইনকে দিয়ে।
তিন পয়েন্টের জন্য মার্তিনোর ‘প্রেসকিপশন’ হলো আক্রমণাত্মক ফুটবল, ‘ঘরের মাঠে কলম্বিয়া নিশ্চয়ই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলবে। বল নিজেদের দখলে রাখার জন্য আমাদেরও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে হবে। আর বল পায়ে থাকলে কোনো ভুল করা চলবে না। আমরা ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। আর সেভাবেই খেলা উচিত। যত বেশি বলের দখল আমাদের থাকবে, জয়ের সম্ভাবনাও তত বেড়ে যাবে।’
গত জুনে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে শেষবারের মতো মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়া। সেই ম্যাচ নির্ধারিত সময় গোলশূন্য ড্র থাকার পর টাইব্রেকারে জয় পেয়েছিল আর্জেন্টিনা।
এবার অবশ্য কলম্বিয়া মানসিকভাবে কিছুটা এগিয়ে থাকবে। নিজেদের মাঠে খেলার বাড়তি সুবিধা তো আছেই। সেই সঙ্গে পয়েন্ট টেবিলেও আর্জেন্টিনার চেয়ে এগিয়ে আছে কলম্বিয়ানরা। তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান ষষ্ঠ।
লাতিন আমেরিকান অঞ্চল থেকে সেরা চারটি দল সরাসরি পেয়ে যাবে বিশ্বকাপের টিকেট। পঞ্চম স্থানে থাকা দলকে প্লে-অফ খেলতে হবে ওশেনিয়া অঞ্চলের চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে।