ক্রিকেটের ধর্মযুদ্ধ!

মধ্যযুগের ধর্মযুদ্ধের কথা কারো অজানা নয়। জেরুজালেমের পূণ্যভূমি দখল নিয়ে দুই-তিন দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছিল মুসলিম ও খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ। সেই ধর্মযুদ্ধের আবহ যেন নতুন করে ফিরে এসেছে ক্রিকেটের হাত ধরে। প্রথমবারের মতো ক্রিকেট লড়াই হয়েছে খৃস্টধর্মের কেন্দ্রস্থল ভ্যাটিকান সিটির ক্রিকেট দল ও ইংল্যান্ডের একটি মুসলিম ক্রিকেট দলের মধ্যে।
ক্রিকেটের এই ‘ধর্মযুদ্ধ’ হয়েছে ভ্যাটিকান সিটিতে। ম্যাচটি খেলতে গত বৃহস্পতিবার ইতালির রোমে পৌঁছায় ইংল্যান্ডের দ্য মুসলিম মাউন্ট সিসি দল। ভ্যাটিকানের সেইন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা ও জাদুঘর ভ্রমণ শেষে মাঠের লড়াইয়ে মুখোমুখি হয় রোমের ক্যাপানেল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। ঘরের মাঠে জয়ের হাসি হেসেছে ভ্যাটিকান ক্রিকেট দল।
এটা ছিল দুই ধর্মের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটানোর প্রয়াস। ভ্যাটিকান ক্রিকেট দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করা যাজক ইমোন ও’হিগিন্স বলেছেন, ‘এটা হার-জিতের কোনো ব্যাপার নয়। ক্রিকেটের মাধ্যমে দুই ধর্মবিশ্বাসের মেলবন্ধন ঘটানোই প্রধান লক্ষ্য।’
২০১৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছিল ভ্যাটিকান ক্রিকেট দল। তাদের তুলনায় ইংল্যান্ডের মুসলিম মাউন্ট সিসি অনেক পুরনো। ১৯৭৬ সালে এই ক্রিকেট ক্লাবটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হানিফ মেয়েত। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বন্ধুরা। ভ্যাটিকান সফরের জন্য দলটিকে সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। এখন মেয়েদের জন্যও একটা আলাদা ক্রিকেট দল গঠনের চেষ্টা করে যাচ্ছে মুসলিম মাউন্ট সিসি।
ভ্যাটিকান সফর নিয়ে ক্লাবটির সভাপতি হানিফ মায়েত উচ্ছ্বসিত, ‘এখানকার আতিথেয়তা মুগ্ধ করার মতো। এখানে আসতে পেরে আমরা সম্মানিত বোধ করছি। ভ্যাটিকানে এসে ওদের ক্রিকেট দলের সঙ্গে খেলতে পারা স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো ব্যাপার।’