জাভিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় ক্যাসিয়াস

ইকার ক্যাসিয়াস ও জাভির পেশাদার ক্যারিয়ারের সূচনা কাছাকাছি সময়ে। ২০০০ সাল থেকে দুজনেই ছিলেন স্পেনের জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য। ক্লাব ফুটবলেও ইউরোপের সেরা দুই ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনাকে দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দিয়েছেন ক্যাসিয়াস ও জাভি। সম্মিলিতভাবে দুজনের ম্যাচের সংখ্যা পাঁচশরও বেশি। চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডও ভাগ করে নিচ্ছেন দুই স্প্যানিশ তারকা। তবে জাভিকে সরিয়ে রেকর্ডটা এককভাবে দখল করে নেওয়ার সুযোগ এসেছে ক্যাসিয়াসের সামনে। মঙ্গলবার রাতে পর্তুগিজ ক্লাব পোর্তোর হয়ে চেলসির বিপক্ষে মাঠে নামতে পারলেই জাভিকে ছাড়িয়ে যাবেন স্পেনের কিংবদন্তি গোলরক্ষক।
চ্যাম্পিয়নস লিগে জাভি ও ক্যাসিয়াস দুজনেই এখন পর্যন্ত ১৫১টি ম্যাচ খেলেছেন। মঙ্গলবার মাঠে নামলেই জাভিকে পেছনে ফেলে দেবেন ক্যাসিয়াস। গত মে মাসে কাতারের আল-সাদ ক্লাবে পাড়ি জমানো জাভি অবশ্য সব ম্যাচ খেলেছিলেন বার্সেলোনার হয়ে। অন্যদিকে রেকর্ড গড়ার জন্য ক্যাসিয়াসকে পরতে হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ আর পোর্তোর জার্সি।
রেকর্ডটা অবশ্য অনেক আগেই হয়ে যেতে পারত ক্যাসিয়াসের। কিন্তু ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে তাঁর দিনকাল তেমন ভালো কাটেনি। জোসে মরিনিয়ো রিয়ালের কোচ থাকার সময় দল থেকে বাদ পড়ার মতো অসম্মানও সইতে হয়েছিল স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে। ২০১৩ সালে মরিনিয়ো রিয়াল ছেড়ে চেলসিতে যোগ দেওয়ার পর হৃত সম্মান ফিরে পান ক্যাসিয়াস। ২০১৪ সালে রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের দশম শিরোপার উৎসবেও মেতে উঠেছিলেন। তবে এরপর স্পেনের সফলতম ক্লাবে বেশিদিন থাকেননি। গত জুলাই থেকে তাঁর ঠিকানা পোর্তো। কাকতালীয়ভাবে রেকর্ডের হাতছানির ম্যাচে ক্যাসিয়াসের প্রতিপক্ষ মরিনিয়োর অধীনে থাকা চেলসি।
মরিনিয়োর অবশ্য সময়টা তেমন ভালো যাচ্ছে না। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে তাঁর দল প্রথম সাত ম্যাচের তিনটিতেই হেরে পয়েন্ট টেবিলের ১৫তম স্থানে নেমে গেছে। চ্যাম্পিয়নস লিগের শুরুটা অবশ্য ভালোই হয়েছে ইপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইসরায়েলের ম্যাকাবি তেল আবিবকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে মরিনিয়োর ‘শিষ্য’রা। আর ক্যাসিয়াসের ক্লাব পোর্তো ২-২ গোলে ড্র করেছে ইউক্রেনের ডায়নামো কিয়েভের সঙ্গে।