সাক্ষাৎকার
বৈধ অ্যাকশনেও দুসরা করা সম্ভব : সাঈদ আজমল

সাঈদ আজমলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক বেশ দেরিতেই, ৩১ বছর বয়সে। তবে ২০০৮ সালে আবির্ভাবের পর ক্রিকেট-দুনিয়ার আলো কেড়ে নিতে বেশি সময় নেননি এই অফস্পিনার। ২০০৯ সালে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে বিশাল অবদান ছিল তাঁর। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বোলিং র্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠেছিলেন, টেস্ট র্যাংকিংয়ে পেয়েছিলেন দ্বিতীয় স্থান। কিন্তু গত বছর সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের কারণে নিষেধাজ্ঞার ধাক্কায় আজমলের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার হুমকির মুখে। অ্যাকশন শুধরে গত এপ্রিলে বাংলাদেশ সফর দিয়ে দলে ফিরলেও জ্বলে উঠতে পারেননি। সম্প্রতি ভারতের ক্রীড়াবিষয়ক ওয়েবসাইট স্পোর্টসকিডাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আজমল জানালেন জীবনের উত্থান-পতন আর প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির গল্প।
প্রশ্ন: আপনার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল ৩১ বছর বয়সে। এটা কি আরো আগে হতে পারত বলে মনে করেন?
আজমল : না, তা মনে করি না।
প্রশ্ন : দীর্ঘদিন বোলিং করার পর সেই একই অ্যাকশনের কারণে আপনাকে নিষিদ্ধ করার আইসিসির সিদ্ধান্ত কি বেশি কঠোর ছিল?
আজমল : আমার কাছে এটা এখনো খুব বিস্ময়কর ঘটনা। গত বছরের নিষেধাজ্ঞা আমাকে খুবই বিভ্রান্ত করেছিল।
প্রশ্ন : বোলিং অ্যাকশনের নিষেধাজ্ঞা আপনার ব্যক্তিগত জীবনে কতটা প্রভাব ফেলেছিল?
আজমল : খুব বেশি না।
প্রশ্ন : অনেকেই বলেন, বৈধ অ্যাকশনে দুসরা করা সম্ভব নয়। আপনি কি এই ধারণার সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন?
আজমল : অবশ্যই। বৈধ অ্যাকশনেও দুসরা করা সম্ভব।
প্রশ্ন : কোন ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে বল করা আপনার কাছে সবচেয়ে কঠিন মনে হয়েছে?
আজমল : কুমার সাঙ্গাকারা।
প্রশ্ন : আপনি কি মনে করেন আবার পাকিস্তান ক্রিকেট দলে স্বরূপে ফিরতে পারবেন?
আজমল : হ্যাঁ, আমি তা বিশ্বাস করি।
প্রশ্ন : পাকিস্তানের বর্তমান স্পিনারদের সম্পর্কে আপনার কী ধারণা?
আজমল : ইয়াসির শাহ আর জুলফিকার বাবর খুবই ভালো বোলিং করছে। তারা বর্তমান দলে জায়গা পাওয়ার যোগ্য।
প্রশ্ন : আপনি কি মনে করেন পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের আইপিএলে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া উচিত?
আজমল : অবশ্যই আমি তা মনে করি। ক্রিকেটকে সব সময় রাজনীতি থেকে দূরে রাখা উচিত। মাঠের বাইরে সব ক্রিকেটারই কিন্তু একে অন্যের বন্ধু। তাই তাদের একসঙ্গে খেলার সুযোগ দেওয়া উচিত।
প্রশ্ন : আপনার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় আক্ষেপ কোনটা?
আজমল : আমার তেমন কোনো আক্ষেপ নেই।