অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশের

শক্তি-সামর্থ্যে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের (১৭০) সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার (৬১) বিস্তর ব্যবধান। ফুটবল-বিশ্বে ‘সকারু’ নামে পরিচিত দলটি এশিয়ান কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও। এমন দলের বিপক্ষে বাংলাদেশকে ‘আন্ডারডগ’ই মনে করছেন বাংলাদেশের ডাচ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ। অবশ্য বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পুরো ৯০ মিনিট লড়াইয়েন প্রতিশ্রুতি তাঁর কণ্ঠে। পার্থে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় শুরু হবে ম্যাচটা।
প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে এটাই দুই দলের এটি প্রথম দেখা। ফলাফল নয়, শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতাকেই সবচেয়ে বড় করে দেখছেন ডি ক্রুইফ, ‘অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ থেকে আমাদের অনেক অর্জন হতে পারে। তাদের বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে খেলাটা হবে আমাদের জন্য একটা বড় অভিজ্ঞতা। অস্ট্রেলিয়া র্যাংকিং-শক্তি-সামর্থ্য সবকিছুতেই আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে। তবে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত আমরা লড়াই করে যেতে প্রস্তুত।’
খেলোয়াড়রা সামর্থ্যের সেরাটা দিয়ে খেলতে পারলে ভালো ফল পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন এই ডাচ কোচ, ‘ভালো কিছু অর্জনের চেষ্টা তো থাকবেই। ছেলেদের মধ্যে তেমন প্রত্যয়ও দেখতে পাচ্ছি। আশা করি ম্যাচের শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে পারবে তারা।’
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মামুনুল ইসলামও লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, ‘মালয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ ড্র করায় দলের খেলোয়াড়রা উজ্জীবিত। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে এই আত্মবিশ্বাস আমাদের বেশ কাজে আসবে। নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে আমরা ভালো কিছু অর্জন করতে চাই।’
তবে ফলাফল যা-ই হোক, এই ম্যাচের অভিজ্ঞতা পরের ম্যাচগুলোতে কাজে আসবে বলেই মামুনুলের বিশ্বাস, ‘এই ম্যাচ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের অভিজ্ঞতা আমাদের পরের ম্যাচগুলোতে বেশ কাজে আসবে। অস্ট্রেলিয়া এমন একটি দল যাদের সঙ্গে খেলতে পারাই আমাদের জন্য বড় অভিজ্ঞতা।’
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এটা বাংলাদেশের তৃতীয় ম্যাচ। গত জুনে কিরগিজস্তানের কাছে ৩-১ গোলে হেরে যাওয়ার পর তাজিকিস্তানের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিলেন মামুনুল-এমিলিরা। দুটো ম্যাচই হয়েছিল ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে।