‘মরিনিয়োর জন্যই আমি চেলসিতে’

জোসে মরিনিয়োর সঙ্গে বার্সেলোনার সম্পর্ক তেমন ভালো নয়। ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত মরিনিয়ো রিয়াল মাদ্রিদের কোচ থাকার সময় প্রায়ই ঠোকাঠুকি বাধত চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সার সঙ্গে। তবে পর্তুগিজ এই কোচের ডাকে সাড়া দিয়েই বার্সা থেকে চেলসিতে পাড়ি জমালেন ফরোয়ার্ড পেদ্রো।
কয়েক দিন আগে পেদ্রোর গোলেই উয়েফা সুপার কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে বার্সেলোনা। যদিও তার আগে থেকেই তাঁর ন্যু ক্যাম্প ছাড়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। পেদ্রোর নতুন ঠিকানা হিসেবে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নাম। ‘রেড ডেভিল’দের সঙ্গে কথাবার্তাও অনেক দূর এগিয়েছিল।
কিন্তু কিছুটা বিস্ময়ের জন্ম দিয়ে ২৮ বছর বয়সী পেদ্রোর ঠিকানা এখন চেলসি। এ সিদ্ধান্তের পেছনে মরিনিয়োরই প্রধান ভূমিকা বলে জানিয়েছেন তিনি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের পর তাঁর উচ্ছ্বাসভরা প্রতিক্রিয়া, ‘এখানে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। মরিনিয়োর জন্যই আজ আমি এখানে। তিনি আমাকে বেশ কয়েকবার ফোন করেছেন। আর বলেছেন, আমাকে পেলে দল আরো শক্তিশালী হবে। তিনি যেখানেই গেছেন, সেখানেই অনেক শিরোপা জিতেছেন। আমিও তাঁর কোচিংয়ে খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। আশা করছি, এখানে অনেক শিরোপা জিততে পারব।’
২০০৫ সালে বার্সেলোনার যুব দলের হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা পেদ্রো মূল দলে সুযোগ পান ২০০৮ সালে। বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাবের হয়ে ১৯টি শিরোপা জিতেছেন তিনি। যার মধ্যে আছে পাঁচটি লা লিগা, তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ, তিনটি কোপা দেল রে ও দুটি ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা।
চেলসিতে পুরোনো এক সতীর্থকে পাশে পাচ্ছেন পেদ্রো। ২০১১ সাল থেকে তিন বছর বার্সায় খেলার সুবাদে সেস্ক ফাব্রেগাসের সঙ্গে তাঁর গভীর বন্ধুত্ব। অবশ্য স্পেনের জাতীয় দলেও দুজনে বছর পাঁচেক ধরে সতীর্থ। নতুন দলে বন্ধুর দেখা পেয়ে দারুণ খুশি পেদ্রো, ‘আমি সেস্কের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা খুবই ভালো বন্ধু। আমার চেলসিতে যোগ দেওয়ার পেছনে সেস্ক একটা বড় কারণ।’