বলিভিয়ার অবিশ্বাস্য জয়

পুরো ম্যাচের বেশির ভাগ সময়ই (৭৪%) বলের দখল ছিল প্রতিপক্ষ ইকুয়েডরের কাছে। বলিভিয়ার গোলপোস্ট নিশানা করে ইকুয়েডর নিয়েছিল ২৪টি শট, যার ১০টিই ছিল কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। অন্যদিকে বলিভিয়া আক্রমণই চালাতে পেরেছে হাতে গোনা চার-পাঁচবার। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে খেলার ফল : বলিভিয়া ৩ - ২ ইকুয়েডর।
কোপা আমেরিকায় এটা বলিভিয়ার বহু আকাঙ্ক্ষিত জয়ও বটে। ১৯৯৭ সালের পর টানা পাঁচটি আসরে একটিও জয়ের দেখা পায়নি বলিভিয়ানরা। এবারও শুরু করেছিল মেক্সিকোর বিপক্ষে ড্র দিয়ে। কিন্তু ইকুয়েডরের বিপক্ষে তাক লাগানো এই জয় দিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের দিকেও এক ধাপ এগিয়ে গেছে তারা। আর তেমনটা করতে পারলে ১৯৯৭ সালের পর প্রথমবারের মতো পেরোতে পারবে গ্রুপ পর্বের বাধা। ১৯৯৭ সালে নিজ দেশে আয়োজিত কোপা আমেরিকায় ফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল বলিভিয়া।
‘এ’ গ্রুপের অপর ম্যাচে নাটকীয়ভাবে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে চিলি ও মেক্সিকো। ফলে দুটি ম্যাচ শেষে চার পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে আছে চিলি ও বলিভিয়া। দুই ম্যাচে দুটি ড্র করে তৃতীয় স্থানে থাকা মেক্সিকোর সংগ্রহ ২ পয়েন্ট। শূন্য পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ইকুয়েডর।
ইকুয়েডরের গোলপোস্ট লক্ষ্য করে বলিভিয়ান ফুটবলাররা নিতে পেরেছেন পাঁচটি শট। তার মধ্যে চারটি ছিল কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। এর মধ্যে তিনটি শট থেকেই গোল পেয়েছে বলিভিয়া। সব গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। ৫, ১৮ ও ৪৩ মিনিটে গোল করেন রোনাল্ড রালডেস, মার্টিন ড্যালেস ও মার্সেলো মোরেনো। দ্বিতীয়ার্ধে গোলশোধের মরিয়া চেষ্টা চালায় ইকুয়েডর। বারবার আক্রমণ করে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে। ৪৮ মিনিটে একটি গোল শোধও করেন এনের ভ্যালেন্সিয়া। ৮১ মিনিটে আরেকটি গোল করতে সক্ষম হন মিলার বালানোস। ইকুয়েডরের কয়েকটি গোল প্রচেষ্টা দারুণ দক্ষতায় প্রতিহত করেছেন গোলরক্ষক রোমেল কুইনোনেজ। ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বলিভিয়া।