টি-টোয়েন্টিতেও সিরিজ হার বাংলাদেশের

ব্যাটিং ব্যর্থতা, ব্যাটিং বিপর্যয়! এই কথাগুলোই বারবার ঘুরেফিরে আসছে বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফরের শুরু থেকে। আজ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম হলো না। তার ওপর আবার বল হাতেও খুব বেশি জ্বলে উঠতে পারেননি মাশরাফি-মুস্তাফিজরা। সব মিলিয়ে আরো একবার হারের হতাশাতেই ডুবতে হলো বাংলাদেশকে। ওয়ানডের পর হারতে হলো টি-টোয়েন্টি সিরিজেও। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংরাদেশের হারের ব্যবধানটা ৪৭ রানের।
টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। বল হাতে শুরুটাও হয়েছিল ভালোভাবে। ৪৬ রানের মধ্যেই সাজঘরে ফিরেছিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রথম সারির তিন ব্যাটসম্যান। কিন্তু এরপর দুর্দান্ত এক শতক করে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন কলিন মুনরো। বাংলাদেশের সামনে দাঁড়িয়ে যায় ১৯৬ রানের দুরূহ লক্ষ্য।
সেই পাহাড়ে চড়তে গিয়ে মোটেও সফল হতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। আরো একবার ব্যাটিং ব্যর্থতাই সঙ্গী হয়েছে টাইগারদের। সাব্বির রহমান ও সৌম্য সরকার বাদে বলার মতো প্রতিরোধ গড়তে পারেননি আর কেউ। ৩৬ রানে তিন উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে সাব্বির ও সৌম্য গড়েছিলেন ৪০ বলে ৬৮ রানের ঝড়ো জুটি। একাদশ ওভারে ৩৯ রান করে সৌম্য ফিরে যাওয়ার পর ফিকে হয়ে যায় জয়ের আশা। দুই ওভার পর সাব্বিরও ফিরে যান ৪৮ রান করে। বাংলাদেশের হারটাও নিশ্চিত হয়ে যায় তখনই। বাকি সময়টা শুধুই আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। পুরো ২০ ওভার ব্যাটিংও করতে পারেনি সফরকারীরা। ইনিংস গুটিয়ে গেছে ১৮.১ ওভার ব্যাটিং করেই।
১৯৬ রানের এভারেস্টে চড়তে গিয়ে শুরুতেই লক্ষ্যচ্যুত হয়ে পড়ে টাইগাররা। ৪০ রানেই বিদায় নেন টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান। মিচেল স্যান্টনারের প্রথম ওভারে আউট হন ইমরুল কায়েস। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে টম ব্রুসকে ক্যাচ দেন ইমরুল। গত ম্যাচের মতো আজও রানের খাতা খুলতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। এরপর সাব্বিরকে নিয়ে জুটি বাঁধেন তামিম। দলীয় ৩৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রানআউট হন তামিম। গ্র্যান্ডহোমের বলে রান নিতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপর বেন হুইলারের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে আউট হন সাকিব আল হাসান। মাত্র ১ রান করে ফিরে যান সাকিব।
টানা উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সমর্থকরা যখন ঝিমিয়ে পড়েছে, ঠিক সে সময় জয়ের আশা জাগিয়ে তোলেন সাব্বির রহমান ও সৌম্য সরকার। রানখরায় ভোগা সৌম্য করেছেন ৩৯ রান। সাব্বিরের সঙ্গে তাঁর ৬৮ রানের জুটিতে ম্যাচে ফিরেছিল টাইগাররা। তবে দলীয় ১০৪ রানে সৌম্য ও খানিক বাদে সাব্বির আউট হওয়ায় বাংলাদেশ আবার চাপে পড়ে যায়। ৩২ বলে ৪৮ রান করেন সাব্বির। এর পর আর প্রতিরোধ গড়তে পারেনি কেউই। শেষ পর্যন্ত ১৪৮ রানেই অলআউট হয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস।