ইতিহাস গড়তে বাংলাদেশের চাই ১৪৯ রান

ইনিংসের প্রথম ওভারেই ভারতীয় শিবিরকে নাড়িয়ে দেন শফিউল ইসলাম। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন তরুণ লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবও। তাতে মনে হয়েছিল অল্প রানের মধ্যে ভারতকে আটকে দেওয়ার সম্ভব হবে। তা নাহলেও শেষের দিকে ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তায় প্রথম টি-টোয়েন্টিতে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়ে ভারত। ভারতের মাটিতে প্রথম জয় পেতে বাংলাদেশের চাই ১৪৯ রান।
টি-টোয়েন্টিতে এরআগে আটবারের দেখায় ভারতের বিপক্ষে কখনো জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এবার তাদেরই মাটিতে রোহিত-ধাওয়ানদের হারানোর দারুণ সুযোগ লাল-সবুজের দলের সামনে।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাফল্যের দেখা পায় বাংলাদেশ। ওভারের ষষ্ঠ বলে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে এলবির ফাঁদে ফেলেন পেসার শফিউল ইসলাম। রিভিউ নেন রোহিত। লাভ হয়নি। অফ স্টাম্পের বাইরের বল রোহিতের পায়ে লাগে। ফলে পাঁচ বলে নয় রান করে ফিরতে হয় স্বাগতিক অধিনায়ককে।
রোহিত হারানো ভারতকে পাওয়ার প্লেতে ঝড় তুলতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। প্রথম ছয় ওভারে এক উইকেটে ৩৫ রান তোলে স্বাগতিকরা।
ভারত শিবিরে দ্বিতীয় ধাক্কা দেন লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। ব্যক্তিগত প্রথম ওভারেই সাফল্য পান তিনি। ফিরিয়ে দেন লোকেশ রাহুলকে। ফেরার আগে ১৭ বলে ১৫ রান করেন রাহুল। নিজের তৃতীয় ওভারে এসেও উইকেট পান বিপ্লব। মোহাম্মদ নাঈমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরান শ্রেয়াসকে। আউট হওয়ার আগে ১৩ বলে ২২ রান করেন শ্রেয়াস।
প্রথম ১০ ওভারে বেশিদূর এগুতে পারেনি ভারত। দুই উইকেট হারিয়ে তোলে ৬৯ রান। ওপেনিংয়ে নেমে ভারতের রানের গতি ধরে রাখার চেষ্টা করেন শেখর ধাওয়ান। কিন্তু বেশিদূর যেতে পারেননি। ১৪.৫ ওভারে রানআউট হন তিনি। স্লো ব্যাটিংয়ে ৪২ বলে ৪১ রান করেন এই ওপেনার। এরপর অভিষিক্ত শিবমকে টিকতে দেননি আফিফ হোসেন। নিজের বলে নিজেই দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে ফেরান তরুণ এই ব্যাটসম্যানকে। অভিষেকে এক রান করেন শিবম। এরপর শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদের ওপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে রোহিত শর্মার দল।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে তিন ওভারে ২২ রান দিয়ে দুই উইকেট সংগ্রহ করেন বিপ্লব। চার ওভারে ৩৬ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন শফিউল ইসলাম। এক উইকেট নেন আফিফ হোসেন।
নিষেধাজ্ঞার কারণে এই সফরে নেই বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দেশের অন্যতম সেরা ওপেনার তামিম ইকবালও নেই। পিঠের চোটের কারণে ছিটকে গেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সব মিলিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকরা।
এ ছাড়া প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারত অত্যন্ত শক্তিশালী দল। সেরা পারফর্মারদের ছাড়া বাংলাদেশ কতটা লড়াই করতে পারে, সেটাই দেখার বিষয়। কিন্তু অতীত পরিসংখ্যান বলছে, ভারতের কাছে টি-টোয়েন্টিতে কখনো জয় পায়নি বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে আটবারের মুখোমুখিতে একবারও ভারতকে হারাতে পারেনি লাল-সবুজের দল।