হজে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কাজে প্রথমবার ড্রোন ব্যবহার করছে সৌদি আরব

পবিত্র হজের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এরই মধ্যে হজ পালন করতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মক্কায় জড়ো হয়েছেন লাখো লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলমান। হজে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কাজে প্রথমবারের মতো এবার ড্রোন ব্যবহার করছে সৌদি আরব। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফ্যালকন’।
গতকাল রোববার (১ জুন) সৌদি আরবের সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক এ ঘোষণা দেন।
সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসএপি) জানিয়েছে, এই ড্রোনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হয়েছে এবং এটি নির্দিষ্টভাবে অগ্নিনির্বাপক কাজের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ড্রোনটি এমন সব স্থানে ব্যবহার করা হবে যেখানে পৌঁছানো চ্যালেঞ্জিং।
এসএপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ড্রোনটি অতি উচ্চতায় টানা ১২ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম এবং এটি ৪০ কেজি ভার বহন করতে পারে। ড্রোনটিতে একাধিক সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে। যার মাধ্যমে উদ্ধার ও নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। এতে রয়েছে থার্মাল ক্যামেরা। যা দিয়ে লাইভ ভিডিও সম্প্রচার করা এবং সরাসরি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পরিচালনা করা যাবে।
ড্রোনটি উঁচু ভবন, শিল্পকারখানা এলাকা, বিপজ্জনক পদার্থ ধারণকারী বস্তু এবং জনবহুল পরিবেশ ও বনাঞ্চলে আগুন নেভাতে সক্ষম। এটি ঘটনার প্রকৃত চিত্র দেখে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারায় ব্যক্তিগত ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারে।
সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল হামুদ বিন সুলাইমান আল-ফজর এক প্রেস কনফারেন্সে হজ নিরাপত্তা কমান্ডার ফোর্সকে এই ড্রোনের কার্যকারিতা সম্পর্কে জানান।
এদিকে জননিরাপত্তা পরিচালক লেফটেন্যান্ট পরিচালক জেনারেল মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ আল বাসসামি বলেন, অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশ করতে চাওয়া ২ লাখ ৬৭ হাজার ৬৭৮ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ২৫২ জন ভুয়া হজ প্রচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া হজের নীতি ভঙ্গ করায় ১ হাজার ২৩৯ জনকে গ্রেপ্তার এবং ১ লাখ ৯ হাজার ৬৩২টি যানবাহন ফেরত পাঠানো হয়েছে।