মুসলমানদের পাঁচটি ধর্মীয় স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্র হজ।  ইহরাম বেঁধে মিনায় যাওয়ার মাধ্যমে আজ বুধবার (৪ জুন) থেকে চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে। আগামীকাল ৫ জুন পালিত হবে ইয়াওমে আরাফা বা আরাফার দিন। 

সৌদি আরবের সর্বোচ্চ আদালত জানায়, জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার পর ৪ জুন থেকে হজের আনুষ্ঠানিকতার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। 

হজের আনুষ্ঠানিকতার সূচনা হিসেবে আজ ইহরাম বেঁধে মিনায় যাবেন হজযাত্রীরা। পরে সেখানে তারা পুরো সময় ইবাদতে কাটাবেন।

হজ পালনকারীদের জন্য ৮ জিলহজ জোহরের নামাজের আগে মিনায় পৌঁছানো সুন্নত। এ ছাড়া মিনায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ও রাতযাপন করাও সুন্নত।

হাজিরা মিনায় অবস্থানকালে তালবিয়া, জিকির ও কোরআন তিলাওয়াতে মশগুল থাকেন। এখানে অবস্থানের প্রতিটি মুহূর্ত অত্যন্ত মূল্যবান। জিকির ও ইবাদতে মগ্ন থাকা মিনার খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমল। অনর্থক গল্প-গুজব থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। 

মিনায় হাজিদের রাত কাটানোর জন্য আলাদা আলাদা তাঁবু রয়েছে। প্রত্যেক তাঁবুর আলাদা নম্বর দেওয়া। সব তাঁবুই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এখানে হাজিদের এজেন্সির পক্ষ থেকে খাবার পরিবেশন করা হবে।

প্রতিবছর জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। এই সময়ের মধ্যে হজযাত্রীরা চার দিনের বিভিন্ন ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেন। চার দিনের মধ্যে দ্বিতীয় দিন লাখ লাখ হাজি আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হন ও নামাজ আদায় করেন। 

গত বছর প্রায় ১৮ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ পালনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে ওই বছর হজ পালনকালে সৌদি আরবে তাপমাত্রা বেড়ে ৫১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল। গরমের কারণে ও অন্যান্য অসুস্থতায় ওই বছর এক হাজার ৩০০-এর বেশি হজযাত্রী মারা যান।