‘কেমন বাজেট চাই’ অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত সময়োপযোগী

জনপ্রিয় ও আধুনিকতম বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি দীর্ঘ যাত্রায় দেশের গণমাধ্যম জগতে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে। নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন, জনকল্যাণমুখী অনুষ্ঠান এবং জাতীয় মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির বিকাশে এনটিভির অবদান প্রশংসনীয়।
জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি ধাপে গণমাধ্যমের যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে, তেমনি অর্থনীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনাকে জনসম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রেও গণমাধ্যম এক অপরিহার্য শক্তি। এই দৃষ্টিকোণ থেকে এনটিভি তার দায়বদ্ধতা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করছে, বিশেষ করে অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা, কর সচেতনতা এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে।
শক্তিশালী গণমাধ্যম ও কার্যকর রাজস্ব ব্যবস্থা একটি টেকসই অর্থনীতির ভিত্তি। বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় রাজস্ব প্রবাহ যেমন মূল চালিকাশক্তি, তেমনি জনগণের মধ্যে কর বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলতেও গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এনটিভি করসংস্কৃতি, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং অর্থনৈতিক নীতিমালা নিয়ে যে ধারাবাহিক সংবাদ ও আলোচনা তুলে ধরে, তা জাতীয় রাজস্ব আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
এটিভিতে সম্প্রচারিত ‘কেমন বাজেট চাই’ অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। বাজেট ঘিরে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা, পরামর্শ ও ভাবনার প্রতিফলন এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উঠে এসেছে। এতে নীতি-নির্ধারকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা রয়েছে। এমন আয়োজন বাজেট প্রক্রিয়াকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গণমুখী করতে সহায়তা করবে। গণমাধ্যমের এমন সচেতন ভূমিকা প্রশংসনীয়। এনবিআর সবসময় এমন জনমুখী আলোচনাকে উৎসাহিত করে।
একটি ডিজিটাল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গঠনের লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এই যাত্রায় গণমাধ্যম যেমন পথপ্রদর্শকের ভূমিকা রাখবে, তেমনি উন্নয়ন ও সুশাসনের কণ্ঠস্বর হিসেবেও কাজ করবে বলে আশাবাদী।
আমি আশা করি, এনটিভি ভবিষ্যতেও সত্য, দায়বদ্ধতা ও ইতিবাচক পরিবর্তনের ধারক হিসেবে জাতির অগ্রযাত্রায় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে। এনটিভির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি, সৃজনশীল ও গৌরবজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করছি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এনটিভির সকল কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও কর্মীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
লেখক : চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।