Skip to main content
NTV Online

মত-দ্বিমত

মত-দ্বিমত
  • অ ফ A
  • প্রতিক্রিয়া
  • সমসাময়িক
  • বহির্বিশ্ব
  • ব্যঙ্গ রঙ্গে
  • ফিরে দেখা
  • স্মরণ
  • বিদেশি কলাম
  • নগর দর্পণ
  • অতিথি কলাম
  • খেলাধুলা
  • পাঠকের কলাম
  • বিবিধ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
Follow
  • মত-দ্বিমত
ছবি

নিউইয়র্কে পারসা ইভানা

প্রকৃতির কোলে কৌশানী মুখার্জি

মিষ্টি হাসিতে সাবিলা নূর

মায়াবী চোখে কেয়া পায়েল

প্যারিসে রোমান্টিক মুডে মেহজাবীন-আদনান

দেশে দেশে ঈদুল আজহা উদযাপন

‘কনকা সেরা পরিবার’ সিজন- ৩ চ্যাম্পিয়ন ঢাকার শাহিদিন-ফারহানা পরিবার

কোহলির স্বপ্নজয়ে সারথি আনুশকা!

প্রকৃতিপ্রেমী বুবলী

ইউরোপের রাজাদের বিজয় উদযাপন

ভিডিও
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ৩০২
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ৩০২
নাটক : লাভ লুপ
নাটক : লাভ লুপ
এ লগন গান শোনাবার : পর্ব ২০৫
এ লগন গান শোনাবার : পর্ব ২০৫
রাতের আড্ডা : পর্ব ০৮
এই সময় : পর্ব ৩৮৩৩
পবিত্র হজ্ব ২০২৫ (সরাসরি)
পবিত্র হজ্ব ২০২৫ (সরাসরি)
ছুটির দিনের গান : পর্ব ৪১৫ (সরাসরি)
ছুটির দিনের গান : পর্ব ৪১৫ (সরাসরি)
আপনার জিজ্ঞাসা : পর্ব ৩৩৮৫
টেলিফিল্ম : তোমাকেই ছুঁতে চাই
টেলিফিল্ম : তোমাকেই ছুঁতে চাই
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫৪৮
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫৪৮
আবুল কাসেম ফজলুল হক
১৬:১৬, ১০ জুলাই ২০১৬
আবুল কাসেম ফজলুল হক
১৬:১৬, ১০ জুলাই ২০১৬
আপডেট: ১৬:১৬, ১০ জুলাই ২০১৬
আরও খবর
‘মা’–একটি শব্দেই পূর্ণতা
দুর্ভাগা তোফাজ্জলের জীবনের সমাপ্তিটাও হলো নিঠুর নির্মমতায়
কেমন বাংলাদেশ দেখতে চাই
জয়ের ঘনঘন বক্তব্য বদলের ব্যাখ্যা দিলেন আলী রীয়াজ
পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঠাগারগুলো টিকিয়ে রাখতে কী করা যেতে পারে

গুলশান ৭/১

মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের ভবিষ্যৎ

আবুল কাসেম ফজলুল হক
১৬:১৬, ১০ জুলাই ২০১৬
আবুল কাসেম ফজলুল হক
১৬:১৬, ১০ জুলাই ২০১৬
আপডেট: ১৬:১৬, ১০ জুলাই ২০১৬

গত পয়লা জুলাই শুক্রবার রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সশস্ত্র জঙ্গিবাদীদের হামলায় ২৮ জনের প্রাণ গেছে। নিহতদের  অধিকাংশই ইতালি, জাপান প্রভৃতি দেশের নাগরিক। এর মধ্যে দুজন পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। হত্যাকাণ্ড ও জিম্মি করে রাখার ঘটনায় এবং অপারেশন থান্ডারবোল্টে রাত ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সময় পার হয়ে যায়। অবশ্য সেনাবাহিনীর অপারেশন আরম্ভ করার পর জঙ্গিবাদীদের শেষ করে দিতে মাত্র তেরো মিনিট সময় লাগে। এতে পাঁচজন জঙ্গি নিহত হয় এবং একজন ধরা পড়ে। এরা সমাজের উচ্চ শ্রেণির পরিবারের সন্তান। মাদ্রাসা শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্ক নেই। এরা সম্পূর্ণই পাশ্চাত্য শিক্ষাধারার। পুলিশ কর্তৃপক্ষ এই ছয়জনের পরিচয়ও প্রকাশ করেছে।

এ ধারার আগে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সেগুলোতে হত্যাকারীরা আত্মরক্ষার ব্যবস্থা রেখে অপারেশন চালিয়েছে। এবার যারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা আত্মরক্ষার কোনো ব্যবস্থা না রেখে অপারেশন চালিয়েছে। মনে হয় এটা সুইসাইডাল স্কোয়াড। দুই পক্ষেরই এবারের অপারেশনের প্রকৃতি ভিন্ন। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে অবশ্য বিডিআর বিদ্রোহে সাতান্নজন সামরিক অফিসার নিহত হন। এসব দেখে মনে হচ্ছে বাংলাদেশে ভবিষ্যতে বড় কোনো কল্যাণকর পরিবর্তনের জন্য একাত্তরের স্বাধীনতাযুদ্ধের চেয়েও বড় কোনো ঘটনার প্রয়োজন হবে। কথিত মৌলবাদ এবং জঙ্গিবাদের বিকাশের এ ধারা বেশি দিন থাকবে না, এমন মনে করার কোনো কারণ পাওয়া যায় না।

এই ভয়াবহ ঘটনা নিয়ে দেশে-বিদেশে আলোচনা ও লেখালেখি চলছে। বেশ কিছু দেশের বিশেষ করে সামনের সারির সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর সরকারপ্রধান এই হত্যাযজ্ঞ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে বারাক ওবামা ও জন কেরি জঙ্গি দমনে সাহায্য করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশে আসার জন্য উদগ্রীবতা প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ সরকার জঙ্গি দমনে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বাহিনী বা অন্য কোনো বাহিনীর বাংলাদেশে আসার প্রয়োজন নেই বলে মত প্রকাশ করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র কয়েকদিন আগেও ক্রমাগত বলত, বাংলাদেশে আইএস আছে। বাংলাদেশ সরকার বলত বাংলাদেশে আইএস নেই। তারপর যুক্তরাষ্ট্র সরকার সুর বদলে বলছে যে, বাংলাদেশে আইএস নেই। যুক্তরাষ্ট্রের এই সুর বদলানোর পরেও বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্রকে জঙ্গি দমনের জন্য বাংলাদেশে আসতে দিতে সম্মত হচ্ছে না। জঙ্গি দমনের জন্য বৃহৎ শক্তিবর্গের সরকারপ্রধানদের বক্তব্য এবং বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্য প্রায় এক। তারা সবাই কেবল দমননীতি দ্বারা যুদ্ধ, আইন-আদালত, ফাঁসিকাষ্ঠ, জেলখানা, বন্দুকযুদ্ধ ইত্যাদি দিয়ে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়া, চীন প্রভৃতি দেশের সরকার জঙ্গিবাদ সম্পর্কে এবং দেশ-বিদেশের এসব হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক দেশ কেবল নিন্দা জ্ঞাপন করেই কর্তব্য সারছে।

বাংলাদেশে অনেকেই বলে থাকেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই জঙ্গিবাদের জন্মদাতা। তবে কারণ, করণীয় ও ফলাফলের সূত্র ধরে কেউই এ নিয়ে ভাবছেন না। যুদ্ধ-বিগ্রহ, দুর্নীতি, প্রতারণা, মিথ্যাচার ও শোষণ-পীড়ন ষোলো আনা বজায় রেখে কেবল কঠোর দমননীতি দ্বারা সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। জঙ্গি দমনে বুশ-ওবামা-কেরি থেকে খালেদা-হাসিনা পর্যন্ত কারো চেষ্টাই সফল হয়নি, চলমান ধারায় তা হবেও না। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগসাজশে থেকে কেবল যুদ্ধ আর কঠোর দমননীতি দিয়ে সমাধান করার মতো সমস্যা এটা নয়। সমস্যার সমাধান করতে হলে এর মধ্যে যে রাজনীতি আছে তা পরিবর্তন করে উন্নততর রাজনীতি প্রবর্তন করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

সমস্যার সমাধান করতে হলে সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি ও ধারাবাহিক কার্যক্রম দরকার। স্বল্পমেয়াদি কাজের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও কাজ দরকার। (১) বাংলাদেশে এবং দুনিয়াব্যাপী সমস্যার বর্তমান অবস্থা ও এর পেছনের রাজনীতি সম্পর্কে তথ্যনির্ভর পরিচ্ছন্ন ধারণা অর্জন করতে হবে। (২) মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের উদ্ভব ও বিকাশকে বিশ্বপরিসরে ইতিহাসের দিক দিয়ে কারণ-করণীয়-করণ ও ফলাফলের সূত্র ধরে যতটা সম্ভব গভীরভাবে জানতে ও বুঝতে হবে। (৩) বর্তমানে রাজনৈতিক আদর্শের নামে চলছে ভাওতা-প্রতারণা; রাজনৈতিক আদর্শ উদ্ভাবন এবং নবায়ন করে নিয়ে বিশ্বস্ততার সঙ্গে তা অবলম্বন করতে হবে। (৪) সমস্যার সকল দিককে বাস্তব অবস্থা ও ইতিহাসের দিক দিয়ে বিচার করে যথাসম্ভব ভালোভাবে জেনে নিতে হবে এবং সর্বজনীন কল্যাণে মহান দিকটাকে বেছে নিয়ে তার বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যেতে হবে। সব কিছুই করতে হবে জনসম্পৃক্ত থেকে। সাম্রাজ্যবাদীরা এবং কায়েমি স্বার্থবাদীরা কস্মিনকালেও এ-ধারায় চিন্তা ও কাজ করবে না। তারা তাদের কর্তৃত্ব ও লাভ সম্পূর্ণ বজায় রাখার জন্য চিন্তা ও কাজ করছে, তারপর সমস্যার সমাধানের কথা ভাবছে। এর অন্যথা তাদের থেকে আশা করা যায় না। বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিও এই ধারাতেই আছে। এ অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই সিদ্ধান্ত দাঁড়ায়-জঙ্গিবাদ-মৌলবাদের সমস্যার সমাধানের জন্য কায়েমি স্বার্থবাদের বাইরে অবস্থান নিয়ে সম্পূর্ণ নতুনভাবে চিন্তা ও কাজ করতে হবে। চিন্তা ও কাজের স্বতন্ত্র নতুন কেন্দ্র ও সংঘশক্তি গড়ে তুলতে হবে। সংঘবদ্ধ কাজ ছাড়া কেবল চিন্তা দিয়ে কোনো সুফল হবে না। চিন্তা ও কাজ দুই-ই লাগবে।

বলা হয় যে, কেবল বেহেশতে যাওয়ার লোভে জঙ্গিবাদীদের ও জঙ্গিবাদের উদ্ভব ঘটেছে। জেহাদের ধারণাকে তারা জঙ্গিবাদে রূপ দিয়েছে। চৌদ্দশো বছর ধরে ইসলাম ও জেহাদের ধারণা আছে। বেহেশতের লোভ তো কখনো এভাবে দেখা দেয়নি। আমার মনে হয়, কেবল বেহেশতের লোভ- কথাটা একটুও ঠিক নয়। জঙ্গিবাদীদের মধ্যে বেহেশত-দোজখের চিন্তা কোথায়? তাদের কি এটা বোঝার বুদ্ধি নেই যে, তাদের কাজ ইসলামসম্মত নয়? তাদের নামে একটা বক্তব্য চাপিয়ে দিলেই হলো?

মৌলবাদ ১৯৮০ সালের দিকে ছিল ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজবাদী শক্তির সৃষ্ট সম্পূর্ণ কল্পিত একটি ধারণা। তারা তাদের সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থ ও কর্তৃত্বের প্রয়োজনে মৌলবাদ নামক একটি রেটরিক তৈরি করেছিল। বাংলাদেশে এই রেটরিককে গ্রহণ করে একটি রাজনৈতিক দল লাভবান হয়েছে। কিন্তু মার্কসবাদী দলগুলো সাম্রাজ্যবাদ পরিচালিত মৌলবাদবিরোধী আন্দোলনে মত্ত হয়ে সমাজতন্ত্রহীন-গণতন্ত্রহীন-জাতীয়তাবাদহীন হয়ে পড়েছে। গণতন্ত্রের নামে নিরন্তর অপকর্মের ফলে সৃষ্ট আদর্শ শূন্যতার কারণে এবং মৌলবাদবিরোধী আন্দোলনের প্রতিক্রিয়ায় ধর্মীয় শক্তির ও পুরাতন সংস্কার বিশ্বাসের বিরাট পুনরুজ্জীবন ঘটেছে। ইতিহাসের চাকা পেছন দিকে ঘুরেছে। এতে জঙ্গিবাদ বিস্তারের সাংস্কৃতিক বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সংস্কৃতি নয়, অপসংস্কৃতি প্রাধান্যশীল। মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রগুলোতে-আফগানিস্তানে, ইরাকে, লিবিয়ায়, সিরিয়ায়-যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ন্যাটো যখন সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থে সামরিক আক্রমণ আরম্ভ করে এবং যুদ্ধ চালিয়ে যায়, তখনই উদ্ভব ঘটে তালেবান, আলকায়দা, আইএস ইত্যাদি সংগঠন।

সাম্রাজ্যবাদীরা সাময়িক স্বার্থে এ ধারার কোনো কোনো সংগঠন গড়ে তুলেছিল; কিন্তু অচিরেই এগুলো সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদী রূপে আত্মপ্রকাশ করে এবং নানা কারণে সাম্রাজ্যবাদের সহযোগী নানা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। তারা অনেক কথা বলেছে বটে এতে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরকালমুখী নয়, জাগতিক। বেহেশত-দোজখের ধারণার চেয়ে অনেক বড় হয়ে কাজ করছে সাম্রাজ্যবাদী সামরিক আক্রমণ ও শোষণ-পীড়ন-প্রতারণার ফলে সৃষ্ট চরম হতাশা। অন্যায়-অবিচার, জুলুম-নির্যাতন, যুদ্ধ-গণহত্যার এক প্রতিকারহীন বাস্তবতায় চরম হতাশা তাদের চরমপন্থী করেছে, জঙ্গিবাদী করেছে। চরম হতাশদেরই শেষ অবলম্বন সশস্ত্র চরমপন্থা। পৃথিবীতে উৎপাদন ও সম্পদ অনেক বেড়েছে। নতুন প্রযুক্তি আর মানুষের চিন্তাশক্তি ও শ্রমশক্তিই এর কারণ। কিন্তু সম্পদ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অন্যায় বাড়ছে- হতাশা বাড়ায়, ন্যায় কমছে জুলুম-জবরদস্তি ও শোষণ নির্যাতন বাড়ছে। আধিপত্যশীল পশ্চিমা উন্নয়নতত্ত্ব ও অর্থনীতির অন্যায়- অন্যায়ের সব তত্ত্ব ছাড়াচ্ছে। গণতন্ত্র বৈরী এই বাস্তবতা সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, খুন-খারাপি, হত্যা-আত্মহত্যার সম্পূর্ণ অনুকূল। এসবের দ্বারাই জঙ্গিবাদ বিস্তারের ভিত্তি তৈরি হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রগুলোতে-আফগানিস্তানে, ইরাকে, লিবিয়ায়-যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ন্যাটো যখন সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থে আক্রমণ আরম্ভ করে এবং যুদ্ধ চালায় তখনই দেখা দিয়েছে তালেবান, আল-কায়েদা, আইএস ইত্যাদি জঙ্গি সংগঠন। সাম্রাজ্যবাদীরা সাময়িক প্রয়োজনে এসব সংগঠন গড়েও তুলেছিল কিন্তু অচিরেই এগুলো সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদী অবস্থান নিয়ে অভিযানে নেমেছে। ইসলামের কথা তারা বলছে বটে তবে তাদের অস্তিত্বে বেহেশত-দোজখের ধারণার চেয়ে অনেক অনেক বড় হয়ে কাজ করছে সাম্রাজ্যবাদী সামরিক আক্রমণ ও শোষণ-পীড়ন-প্রতারণার ফলে সৃষ্ট চরম হতাশা। চলমান বিশ্বব্যবস্থা ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় এটা অনিবার্য।

মানবজাতি কি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিশ্বায়নের নামে ঠিক পথে পরিচালিত হচ্ছে? বিশ্ববিবেক বলে যে কথাটি বলা হতো, তা কি জাগ্রত আছে? মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ন্যাটো যে মানবতাবিরোধী অপরাধ করে চলছে, যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করে চলছে- তা কি বিশ্ববিবেককে পীড়িত করছে? মধ্যপ্রাচ্যের জনগণের প্রতি বিশ্ববিবেকের কি কিছুই করণীয় নেই? মধ্যপ্রাচ্যের জনগণ কি সব জঙ্গিবাদী? যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ন্যাটোর তৎপরতার প্রতি বিশ্ববিবেকের ভূমিকা কী? যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সরকারি বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করে যাওয়াই কি বিশ্ববিবেকের কাজ?

আসলে মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিটি রাষ্ট্রের জনগণের মধ্যেই জাতীয়তাবোধ আছে। জামাল আবদুল নাসের, প্যাট্রিস লুমোস্তা, সাদ্দাম হোসেন, মুয়াম্মার গাদ্দাফি- প্রত্যেকেই জাতীয়তাবাদী নেতা ছিলেন। তাঁরা বৃহত্তর আরব জাতীয়তাবাদের কথাও প্রচার করেছেন। জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ইত্যাদি আদর্শ অবলম্বন করে তাঁরা এগোতে চেয়েছেন। গাদ্দাফি সমাজতন্ত্র ও ইসলামের কথা বলেছেন। ইঙ্গ-মার্কিন শক্তি সব সময় তাদের স্বাভাবিক আত্মবিকাশে বাধা দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে রাষ্ট্রগুলোতে জনগণ রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা ও জাতীয় ঐতিহ্য অবলম্বন করে চলতে চায়। তারা তাদের রূপে ইঙ্গ-মার্কিন শক্তির হস্তক্ষেপকে সহ্য করতে চায় না। এই পটভূমিতে জনগণ ইসলাম চায়, কিন্তু তারা বেশি চায় রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধ জীবন। তারা চায় তাদের তেল, গ্যাস, হীরা, সোনা-এগুলোকে সাম্রাজ্যবাদী লুণ্ঠন থেকে রক্ষা করতে। জঙ্গিবাদীদের মধ্যেও জনজীবনের প্রভাব আছে, জাতীয় চেতনা আছে। শোষণ-পীড়ন-প্রতারণা ও যুদ্ধের মধ্যে, চরম হতাশার মধ্যে পড়ে তারা চরমপন্থী হয়েছে, জঙ্গিবাদী হয়েছে পোপন সংগঠন করেছে।

মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রগুলো থেকে সব বিদেশি সৈন্য সরিয়ে নিলে ক্রমে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থা দেখা দেবে। আজ যদি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই দাবিতে আন্দোলন আরম্ভ করা হয় যে, মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রগুলো থেকে সব বিদেশি সৈন্য সরিয়ে নাও, তাহলেই অবস্থার পরিবর্তন শুরু হবে। পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ উম্মুক্ত হবে। ওরা জঙ্গিবাদী হচ্ছে কেন? এটা খুঁজতে হবে।

লেখক : সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

পাঠকের পছন্দ

গরমে ঘামাচিতে জেরবার?

ভ্রমণের সময় যা মনে রাখবেন

কীভাবে হবেন ভালো সহকর্মী?

সর্বাধিক পঠিত
  1. সিনেমার বাজেট ৯০ কোটি, তিন দিনে ৬০ কোটির ঘরে ‘সিতারে জমিন পার’
  2. বক্স অফিসে ঘুরে দাঁড়াল আমির খান, দ্বিতীয় দিনে বাজিমাত
  3. ফের বক্স অফিসে ব্যর্থ হচ্ছেন আমির খান?
  4. করণ জোহরের শো থেকে বাদ পড়লেন চার প্রতিযোগী
  5. ১২০ কোটির প্রস্তাব ফেরালেন আমির, ওটিটিতে মুক্তি দেবেন না সিনেমা?
  6. মাত্র ৫০০ টাকা নিয়ে মুম্বাই এসেছিলেন দিশা পাটানি
সর্বাধিক পঠিত

সিনেমার বাজেট ৯০ কোটি, তিন দিনে ৬০ কোটির ঘরে ‘সিতারে জমিন পার’

বক্স অফিসে ঘুরে দাঁড়াল আমির খান, দ্বিতীয় দিনে বাজিমাত

ফের বক্স অফিসে ব্যর্থ হচ্ছেন আমির খান?

করণ জোহরের শো থেকে বাদ পড়লেন চার প্রতিযোগী

১২০ কোটির প্রস্তাব ফেরালেন আমির, ওটিটিতে মুক্তি দেবেন না সিনেমা?

ভিডিও
ফাউল জামাই : পর্ব ১০৫
ফাউল জামাই : পর্ব ১০৫
কনকা সেরা পরিবার, সিজন ০৩, গ্র্যান্ড ফিনালে
কনকা সেরা পরিবার, সিজন ০৩, গ্র্যান্ড ফিনালে
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮২
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮২
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ১৭
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫৪৮
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫৪৮
গানের বাজার, পর্ব ২৩৭
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫৩
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫৩
আপনার জিজ্ঞাসা : পর্ব ৩৩৮৫
জোনাকির আলো : পর্ব ১২৮
জোনাকির আলো : পর্ব ১২৮
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৬১

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Browse by Category

  • About NTV
  • Career
  • NTV Programmes
  • Advertisement
  • Web Mail
  • NTV FTP
  • Satellite Downlink
  • Europe Subscription
  • USA Subscription
  • Privacy Policy
  • Terms & Conditions
  • Contact
  • Archive

NTV Prime Android App

Find out more about our NTV: Latest Bangla News, Infotainment, Online & Live TV

Qries

Reproduction of any content, news or article published on this website is strictly prohibited. All rights reserved

x