বিট ও চিয়া সিডের পানীয় পান করার উপকারিতা, জেনে নিন তৈরির নিয়ম

দিনের শুরুটা ভালভাবে হওয়া খুব জরুরি। সকালে এক গ্লাস স্বাস্থ্যকর পানীয় দিয়ে দিন শুরু করলে, শরীর বিষমুক্ত হয়, শক্তি পায় এবং বিপাক বৃদ্ধি হয়। তাহলে বিটের একটি পানীয় আপনার জন্য উপকারী হতে পারে। চিয়া সিডের পানীয় আপনার জন্য সেরা হতে পারে। এই পানীয়টি কেবল ওজন কমাতেই সাহায্য করে না, বরং হজমশক্তি উন্নত করে, শরীরকে বিষমুক্ত করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে।
বিট অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে আরও নাইট্রেট থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং হৃদরোগের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে, চিয়া সিড ফাইবার, প্রোটিন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এগুলো হজমশক্তি উন্নত করে এবং দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা রাখে। জেনে নিন বিট ও চিয়া সিডের পানীয় পান করার উপকারিতা কী এবং এটি কীভাবে তৈরি করবেন।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
চিয়া সিজ ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ যা দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা রাখে, ফলে বারবার ক্ষুদা পাবে না। অন্যদিকে, বিট বিপাক বৃদ্ধি করে, যা দ্রুত চর্বি বার্ন করে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
হৃদরোগের উন্নতি করে
বিটে নাইট্রেট থাকে যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, চিয়া সিডে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ধমনী পরিষ্কার ও সুস্থ রাখে।
ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে
বিটে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো ত্বকের ক্ষতি করে এমন ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। অন্যদিকে, চিয়া সিডে পাওয়া ওমেগা-৩ ত্বককে ভেতর থেকে হাইড্রেট করে এবং নরম করে তোলে।
বিট ও চিয়া সিড পানীয় কীভাবে তৈরি করবেন
বিটরুট ও চিয়া সিড পানীয় তৈরি করতে, প্রথমে এক চা চামচ চিয়া সিড কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন যাতে ফুলে ওঠে। এবার একটি বিট একটি মিক্সারে পানির সঙ্গে মিশিয়ে ভাল করে পিষে রস তৈরি করুন। এই বিটের রসে ভেজানো চিয়া সিড মিশিয়ে নিন। এভাবে আপনার স্বাস্থ্যকর পানীয় প্রস্তুত হয়ে যাবে।