ঈদ স্পেশাল
চার দেশের কফি ফ্লেভার নিয়ে বারিস্তা

মেট্রো লাইফে কফি কালচার এখন বেশ রমরমা। গরম গরম কফির স্বাদ চেখে দেখতে সময় পেলেই অনেকে ঢু মারছেন কফি শপগুলোতে। ক্লান্তি বা অবসাদ থেকে রেহাই পেতে সন্ধ্যা হলেই কফি শপগুলো হয়ে উঠছে উৎসবমুখর। কফিপ্রেমীদের চাহিদা থেকেই দিন দিন নগরজুড়ে গড়ে উঠছে কফির আস্তানা। তেমনই একটি বারিস্তা লাভাজা। কফির স্বাদ দিতে বারিস্তার আগমন ঘটলেও বর্তমান চাহিদাকে কেন্দ্র করে এর মেন্যু সাজানো হয়েছে ভিন্নভাবে। কফির ভেতরেও রয়েছে বেশ রকমফের। শুধু ঠান্ডা বা গরমই নয়। সবই ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের। আইস্টড, বারিস্তা, বারিস্তা ফ্রাপা, ম্যাঙ্গো ফ্রাপা, বারিস্তা বাস্ট, বারিস্তা কুকি ক্রান্সিথ এমন ভিন্ন স্বাদের অনেক ধরনের আইস ফ্লেভার।
ইতালিয়ান এই চেইন রেস্টুরেন্টের রয়েছে ছোট-বড় ১০টি আউটলেট। তবে বড় পরিসরে রয়েছে চারটি। রেস্টুরেন্টগুলোর ডিজাইন এবং আউটলুক প্রায় একই রকম। সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি হলো রঙের ব্যবহার। ভারতের ফ্যাশন ডিজাইনার রিনা ঢাকায় ফুটিয়ে তুলেছেন এর ইন্টেরিয়র। তবে রঙের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে কফি ফ্লেভার। এতে ব্যবহার করা হয়েছে আরেকটি ঠান্ডা রং অরেঞ্জ। তাই ভেতরে প্রবেশ করলেই পুরো শরীর যেন পায় এক ঠান্ডা অনুভূতি। তেমনি একটি আউটলেট পাবেন গুলশান এভিনিউয়ে। পিৎজা হাট পেরিয়ে নান্দুসের বড় গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকলেই পাবেন এটি। সামনে বড়সড় একটি কারপার্কিং। বাইরের লুকটি একটু ভিন্ন। সাজানো হয়েছে ওয়েস্টার্ন আঙ্গিকে। ভেতরে প্রবেশ করলেই পাবেন কফির ঘ্রাণ।
এখানে বসার জায়গাগুলো করা হয়েছে বিভিন্ন স্টাইলে। কোথাও নরম সোফা, কোথাও বা শক্ত কেদারা। আপনার মর্জির ওপর বেছে নিতে পারেন যে কোনো একটি জায়গা। পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দেওয়ার উত্তম একটি পরিবেশ সৃষ্টি করেছে রেস্টুরেন্টটি। হালকা মিউজিক সিস্টেম আপনার নীরব চিন্তাকে আরো প্রসারিত করবে। তাই একা এলেও তেমন বিরক্ত অনুভব হবে না। এখানকার মজাদার খাবারের সঙ্গে অনায়াসে সময় কাটাতে পারবেন।
বিশ্বের প্রায় সাতটি নামিদামি কোম্পানির কফি এখানে পাবেন। প্রতিটি কফি আলাদা-আলাদা ফ্লেভারের সমন্বয়ে করা হয়েছে। তাজা এবং সক্রিয় বীজ থেকে সরাসরি তৈরি হয় এসব কফি। তাই প্রতিটি কফির মূল ফ্লেভার সক্রিয় থাকে। শুধু কফিই নয়, আছে ভিন্ন স্বাদের অনেক ধরনের জুস। তা ছাড়া দেশীয় ফ্লেভারকে তুলে ধরতে রাখা হয়েছে দেশি আমের জুস। আমগুলোকে ক্লোন আকারে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। তাই এই জুসগুলো পাবেন সারা বছর। এতে ব্যবহার হয় না কোনো ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য। খুব ভারী কোনো আইটেম না থাকলেও পাবেন স্যান্ডউইচ ও র্যাপ করা খাবার। প্রতিটি খাবারই বেশ মুখরোচক। স্যান্ডউইচের রকমফেরগুলো অনেক আকর্ষণীয়। চিলি, অনিয়ন বা চকলেট ফ্লেভারের পাবেন এসব খাবার। রঙের দিক থেকে সাদা, সবুজ বা চকলেট কালারের হতে পারে, এখানে এলেই দেখতে পাবেন। শুধু তাই নয়, এগুলোর নামেও আছে হরেক রকম বাহার।
চিকেন আইটেমের মধ্যে আছে স্মোকড চিকেন, পিসানতি চিকেন, চিজি স্পেনসিয়া কোন। স্যান্ডউইচের মধ্যে পাবেন ক্লাসিক চিকেন টিক্কা, ইতালিয়ান চিকেন সালসা, চিকেন কোরমা, চিকেন মাসালা র্যাপ ছাড়া বেশ কিছু মজাদার আইটেম। এ ছাড়া পাবেন বেশকিছু ডেজার্ট আইটেম।
প্রতিটি খাবারই লোভনীয়। ইতালিয়ান এই চেইন রেস্টুরেন্টটি শুধু বাইরের খাবার পরিবেশন করে না। তারা কাজ করছে বাংলাদেশি ফ্লেভারকে পরিচিত করাতে। তাই প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে দেশীয় আইটেম। তবে যাঁরা কফির স্বাদ নিতে আসছেন, তাঁদের জন্য থাকছে এসপ্রেসো ইটালিয়ানো, ক্যাপাচিনো, ক্যাফে লাতে, ক্যাফে আমেরিকানো, ক্রিম ক্যারামেল লাতে, ক্যাফে ক্যারামেল ও ক্যাফে মোচা। ভিন্ন স্বাদের এসব কফির স্বাদ নিতে আপনাকে গুনতে হবে ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত। এসব কফির কোল্ড ফ্লেভারও পাবেন একই দামে। কফির পাশাপাশি কয়েকটি ভিন্ন স্বাদের চা-ও পাবেন। এর মধ্যে রয়েছে আসাম, মাসালা টি ও আর্ল গ্রে টি। দাম ৮৫ টাকা থেকে ১২০ টাকা।