বিএমইউ-এ সিটি স্ক্যানসহ রেডিওলজি বিভাগের অ্যাপয়েন্টমেন্ট মিলবে অনলাইনে

রোগীদের ভোগান্তি দূর করতে ও ভিড় এড়াতে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগে অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট সেবা চালু করা হয়েছে। এর ফলে রোগীদেরকে এখন আর সিটি স্ক্যান, এমআরআই, আল্ট্রাসনোগ্রাম, এক্স-রে, কনট্রাস্ট এক্স-রে করানোর জন্য ভোর থেকে এসে লাইনে দাঁড়াতে হবে না।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) এফ ব্লকের চতুর্থ তলায় অনলাইনে এই অ্যাপয়েন্টমেন্ট সেবা কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি হিসেবে বিএমইউর মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএমইউর সম্মানিত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন— বিএমইউর রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন— রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. হাবিবা খাতুন। স্বাগত বক্তব্য দেন— আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ডা. একেএম আখতারুজ্জামান।
অধ্যাপক ডা. হাবিনা খাতুন জানিয়েছেন, বর্তমানে রোগীরা রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের মোট পরীক্ষার ৫০ শতাংশ অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবেন ও পর্যায়ক্রমে রোগীদের সুবিধা অনুযায়ী এটা ১০০ শতাংশে উন্নীত করা হবে।
আইসিটি সেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রথমে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট www.bmu.ac-তে প্রবেশ করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট মেন্যুতে ক্লিক করে পরবর্তীতে ‘ফর রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং’ এ ক্লিক করার পর অ্যাপয়েন্টমেন্ট ফর্ম পূরণ করার পর চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক তার প্রয়োজন অনুযায়ী সিটি স্ক্যান, এমআরআই, আল্ট্রাসনোগ্রাম, এক্স-রে, কনট্রাস্ট এক্স-রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে পারবেন। রোগীরা পরবর্তী তিন কর্ম দিবস পর্যন্ত অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবেন।
উদ্বোধী অনুষ্ঠানে বিএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, রেডিলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগকে প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এই বিভাগে সবচাইতে বেশি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগের সুযোগ রয়েছে। তাই প্রযুক্তির প্রয়োগে রেডিওলজি বিভাগকে এক নম্বর হতে হবে। রেডিলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগ এমন একটি বিভাগ যেখানে এর সম্প্রসারণের বড় ধরনের সুযোগ রয়েছে। আর এটা বাস্তবায়ন করতে পারলে রোগীরা উপকৃত হবেন। রেডিলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগে অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট সেবা চালু হওয়ায় রোগীদের দুর্ভোগ যেমন কমে আসবে, আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট হওয়া কিছু কিছু অনাকাঙ্খিত, অনৈতিক বিষয়ও এড়ানো সম্ভব হবে।