শিশুর জন্মগত হৃদযন্ত্রের ত্রুটির চিকিৎসা কী?

শিশুর জন্মগত হৃদযন্ত্রের ত্রুটির ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৪৬৯তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. খলিফা মাহমুদ তারিক। বর্তমানে তিনি ঢাকা শিশু হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : আপনাদের কাছে শিশুকে নিয়ে যাওয়ার পর আপনারা কীভাবে নির্ধারণ করেন কোন বাচ্চাটি হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছে?
উত্তর : এই লক্ষণগুলো যখন আমরা দেখি, তখন কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত হয়ে নিই। প্রথমে রোগীকে পরীক্ষা করি। পরীক্ষা করলেই আমরা কিছুটা ধারণা পেয়ে যাই। ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার পর যদি সন্দেহ হয় তখন নিশ্চিত হওয়ার জন্য রোগ নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষায় যাই। বুকের এক্স-রে যদি করি, সেখান থেকে ধারণা পেয়ে যেতে পারি। একই সঙ্গে ইসিজি করেও দেখতে পারি। এ ছাড়া ইকোকার্ডিওগ্রাম করেও নিশ্চিত হওয়া যায়। এটি এমন একটি পরীক্ষা যার মাধ্যমে ৯৫ শতাংশ রোগ নির্ণয় করা সম্ভব।
প্রশ্ন : চিকিৎসা কীভাবে করেন?
উত্তর : হৃদযন্ত্রের ত্রুটি থাকলেই যে সার্জারিতে চলে যাই, সেটি কিন্তু নয়। আমি আগেই বলেছি কিছু কিছু পরিবর্তন জন্মের পরও হয়। জন্মের পর পরই হৃদযন্ত্রের কোনো সমস্যা যেমন, এএসডি বা পিএফও দেখা দিতে পারে। এ বিষয়গুলোর চিকিৎসার তেমন কোনো প্রয়োজনই পড়ে না। কিছু কিছু ছিদ্র দেখা যায়, এমনি এমনি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। হৃদযন্ত্রের রোগের প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে আমরা চিকিৎসাটা দেই। আবার যেসব রোগী দেরি করে আসে, যদি জটিল ত্রুটি নিয়ে কেউ চিকিৎসা না করায় বা চিকিৎসা নিতে দেরি করে, একটি পর্যায়ে গিয়ে এটি চিকিৎসার অভাবে অনিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে চলে যায়। যে বাচ্চাটি হয়তো শুরুতে অস্ত্রোপচার করলে ভালো হয়ে যেত, তার আর কোনো কিছু করার সুযোগ থাকবে না। সেজন্য কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে তার ওপরে নির্ভর করে চিকিৎসা পদ্ধতি ঠিক করতে হবে।