শিশু ঠিকমতো খাচ্ছে তো?

শিশুর খাবার ঠিকমতো হচ্ছে কি না, এ নিয়ে অনেক মা-বাবাই বেশ দুশ্চিন্তায় থাকে। অনেকে আবার ধারণাই করে বসেন যে শিশুটি ঠিকমতো খাচ্ছে না। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৪৫১তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. আবিদ হোসেন মোল্লা। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : বাচ্চারা আসলে খেতে চাইছে না—এ ধারণাটা কোথা থেকে আসে। আর কখন এলে মা-বাবা বুঝবে বাচ্চাটা ঠিকমতো খাচ্ছে?
উত্তর : বাচ্চারা খেতে চাইছে না—এ বিষয়টি মা-বাবাদের বুঝতে হবে। কেন বুঝতে হবে? শিশুর যে খাবার দরকার বা খাবার খেতে চায়, এই কথাটি বলার আসলে কোনো সুযোগ নেই। তার আগেই আমরা খাবার দিয়ে দিচ্ছি। কোনো কোনো মা অথবা বাবা নির্দিষ্ট সময় পরপর তাকে ঘড়ি ধরে খাওয়াচ্ছেন। দুই ঘণ্টা হোক বা তিন ঘণ্টা হোক। আসলে শিশুটির তো ক্ষুধা লাগতে হবে। বাচ্চার কায়িক পরিশ্রম নেই, সারা দিন বসে আছে।
সে জন্য আমরা মা-বাবাকে সব সময় যে কথাটি বলি, আপনার বাচ্চাকে খাবার চাইতে দেন। ডিমান্ড ফিডিং যাকে বলে। কোনো ঘড়ি ধরে নয়। একেকটি বাচ্চার চাহিদা একেক রকম। সুতরাং সেই বাচ্চার চাহিদাটাকে বলতে দেন।
প্রশ্ন : বাচ্চার ঠিকমতো বৃদ্ধি হচ্ছে কি না, সেটি বোঝার কী উপায়?
উত্তর : সেটি বোঝার জন্য একটি বাচ্চার কার্যক্রম দেখতে পারি। আমরা চেম্বারে অনেক সময় দেখি একটি বাচ্চা এসে লাফালাফি দৌড়াদৌড়ি করে। কেন নিয়ে এসেছেন শিশুটিকে, জানতে চাইলে মা-বাবারা বলেন, বাচ্চাটি ঠিকমতো খায় না?
বাচ্চার দিনে কতটুকু প্রস্রাব হচ্ছে, এটি দেখতে হবে। কোনো বাচ্চা যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাঁচ থেকে ছয়বার প্রস্রাব করে, তাহলে বুঝতে হবে যে সে যতটুকু পানি খেয়েছে, সেটি সঠিক ছিল। সুতরাং আমরা সব সময় সবকিছু পরিমাপ করব তার কার্যক্রমের মাধ্যমে। তাহলে সেই কার্যক্রম যদি ঠিক থাকে, পায়খানা যদি ঠিক থাকে, তাহলে আমরা বুঝতে পারব সে ঠিক আছে।
একটি বাচ্চার নির্দিষ্ট মাত্রায় প্রতিদিন ওজন বাড়ে। ধরুন ২২ থেকে ৩০ গ্রাম প্রতিদিন। সেটাও কিন্তু একটি নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত। সব সময় এই গতিতে বাড়বে না।