শীতে জীবাণু সংক্রমিত খাবার-দাবারের মাধ্যমে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে; বরং এ সময় জীবাণু সংক্রমিত বাতাসের মাধ্যমেই ডায়রিয়া হয় বেশি।

প্রথমেই বলে রাখা ভালো, ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুর পায়খানা পরিষ্কার করতে গিয়ে শিশুর যেন ঠান্ডা না লাগে, সেদিকে অভিভাবকদের বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে।

শীতে ভাইরাস দিয়ে সাধারণত ডায়রিয়া হয়। এ ডায়রিয়া জ্বর দিয়ে শুরু হয়। সঙ্গে সর্দি বা বমি থাকতে পারে। প্রতিদিন ৮ থেকে ১২ বার সবুজাভ-হলুদ রঙের পায়খানা হয়। দেখতে অনেকটা বেলের শরবতের মতো, যাতে গোটা দানা থাকে।

অন্য যেকোনো সময়ের ডায়রিয়ার মতো শীতেও ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুকে পানিশূন্যতা রোধ করার জন্য প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। অনেকে সোডিয়ামের পরিমাণ ঠিক রাখার জন্য ওরস্যালাইনের পরিবর্তে চালের স্যালাইন খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এ সময় কোনো শিশুকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া উচিত নয়। যে শিশুরা বুকের দুধ খাচ্ছে, স্যালাইনের পাশাপাশি তা চালিয়ে যাবে।

শিশুর চোখ কোঠরাগত হলে, অত্যধিক বমি হলে, জ্বরের তীব্রতা বাড়তে থাকলে, শরীরের চামড়া ঢিলে হয়ে গেলে এবং পায়খানার সঙ্গে রক্ত গেলে শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করানো ভালো।

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ।