ব্যাংকিং খাতে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতা

দেশের উভয় শেয়ারবাজারে আজ মঙ্গলবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। তবে দুই বাজারেই আগের দিনের চেয়ে সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৮৩৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। সূচক বেড়েছে ১২ পয়েন্ট। মূলত ব্যাংকিং খাতে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতা থাকায় সূচকের অগ্রগতি কম হয়েছে।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, কারিগরি ত্রুটির কারণে আগের দুই দিন বিলম্ব হলেও আজ যথাসময়ে লেনদেন শুরু হয়। ক্রয়াদেশ বাড়তে থাকায় ডিএসইর প্রধান সূচক বেলা সোয়া ১১টায় ৪৬৭০ পয়েন্টে ওঠে। তবে বিক্রির চাপ বাড়ায় বেলা পৌনে ১২টার দিকে ৪৬৩০ পয়েন্টে নেমে আসে। এরপর আবারও ক্রয়াদেশ বাড়লে সূচক পুনরুদ্ধার হতে থাকে। তবে দিনশেষে আগের দিনের চেয়ে ১২ পয়েন্ট বেড়ে ডিএসইএক্স দাঁড়ায় ৪৬২৭.১৬ পয়েন্টে। অন্য দুটি সূচকও সামান্য বেড়েছে।
আজ ডিএসইতে ৩১৫টি কোম্পানির ২০ কোটি ৭৩ লাখ ১৪ হাজার ৪৬৫টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। মোট লেনদেনের পরিমাণ ৮৩৫ কোটি ৭০ লাখ ৩৮ হাজার ২৫৪ টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ২০ কোটি আট লাখ টাকা কম। লেনদেন হওয়া ৩১৫টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৯টির, কমেছে ১৫৬টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩০টির দাম।
আজ ব্যাংকিং খাতের ৩০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র আটটির, অপরিবর্তিত ছিল সাতটির ও কমেছে বাকি ১৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাতেও দাম সংশোধন হয়েছে। এ ছাড়া অন্য খাতগুলোতে মিশ্রাবস্থা দেখা গেছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ ৭৭ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া ২৫৩টি কোম্পানির মধ্য দাম বেড়েছে ১৩৪টির, কমেছে ৯০টির ও অপরিবর্তিত ছিল ২৯টির দাম। সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৪৪ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- কেপিসিএল, এসিআই ফরমুলেশন, ইউনাইটেড পাওয়ার, এমজেএল বিডি, এসিআই, বেক্সিমকো লিমিটেড, বিএসসিসিএল, সাইফ পাওয়ার, বিএসআরএম ও আরএকে সিরামিকস।
দাম বাড়ায় এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো কেয়া কসমেটিকস, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, এসিআই ফরমুলেশন, এফবিএফআইএফ, আইসিবি প্রথম এনআরবি, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, এসিআই, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বিএসআরএম লিমিটেড ও নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্স।
বেশি দাম হারানো ১০টি কোম্পানি হলো মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, খান ব্রাদার্স, ইস্টার্ন কেবলস, আনলিমা ইয়ার্ন, ইউনিক হোটেল, উত্তরা ব্যাংক, খুলনা পাওয়ার, রূপালী ব্যাংক, ন্যাশনাল ফিডস ও সুহৃদ টেক্সটাইল।