বাজেট নিয়ে বিশ্বব্যাংক বলল, প্রবৃদ্ধি অর্জনই চ্যালেঞ্জ

বাংলাদেশে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জিডিপিতে সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন অসম্ভব নয় বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। তবে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকে চ্যালেঞ্জিং কাজ বলেও মনে করছে সংস্থাটি।
আজ সোমবার বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যালয়ে প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার পক্ষ থেকে এই মত তুলে ধরেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি হেড সালমান জায়দী।
সংবাদ সম্মেলনে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘এই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। এবং সেই সঙ্গে উল্লেখযোগ্য হারে বিনিয়োগ বাড়ানো।’
গত ৪ জুন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত দুই লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন। এই বাজেট নিয়েই আজ নিজেদের মত তুলে ধরে বিশ্বব্যাংক।
বাজেটের আকার, অর্থের উৎস এবং সংস্কারমূলক প্রকল্পের ঘোষণা দেখে জাহিদ হোসেন এই বাজেটকে স্বাভাবিক আকারের এবং গতানুগতিক বলেই মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই বাজেট বাস্তবায়নের জন্য ধারাবাহিকভাবে দেশে রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা থাকা প্রয়োজন এবং উল্লেখযোগ্য হারে বিনিয়োগ বাড়তে হবে। জিডিপিতে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে বিনিয়োগের হার ২৯ শতাংশ থেকে ৩৩.৫ শতাংশে নিয়ে যেতে হবে।’
বাজেটে বিনিয়োগ বাড়াতে দেশের কয়েকটি স্থানে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কথা এবং বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে উল্লেখ করে জাহিদ হোসেন বলেন, এসব দেখে মনে হচ্ছে প্রবৃদ্ধি অর্জন অসম্ভব না হলেও বেশ চ্যালেঞ্জিং।
এ সময় প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নের চারটি প্রধান ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেন বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের প্রধান অর্থনীতিবিদ। ইউরোজোনে অর্থনৈতিক মন্দা, তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিক অসন্তোষ, উপসাগরীয় অঞ্চলগুলোতে বাংলাদেশি শ্রমিকের চাহিদা হ্রাসের মতো কারণগুলো কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনে দিকনির্দেশকের ভূমিকা নিতে পারে।
মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বর্তমান ৬.২০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি বাস্তবসম্মত এবং এটা অর্জন সম্ভব।