অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের ওপর হামলা : আদরসহ ৭ জন কারাগারে

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (সদর সার্কেল) ওপর হামলার ঘটনায় ফজলুল রশিদ আদরসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন–পূর্ব ব্রাহ্মণদী এলাকার ফজলুল রশিদ আদর (৪০), শিবপুর দত্তের গাও ভিটি পাড়ার শফিকুল ইসলাম সুমন (৪৪), হাজীপুরের কুদরত হাসান রবিন (২৩), তার ভাই মো. রকিব খান (৩০), ব্রাহ্মন্দী এলাকার মো. সোহাগ মিয়া (৩৫), বৌয়াকুর এলাকার মো. তানভীর মিয়া (২২) ও বালিয়া এলাকার শান্ত মিয়া (২৩)।
এ ঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ২৫-৩০ জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। শহর পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই সোহেল পারভেজ এ মামলার বাদী।
পুলিশের ভাষ্যমতে, ফজলুল রশিদ আদর সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ নদী পথে চলাচলরত বালুর প্রতিটি বলগেট থেকে চাঁদা তুলে থাকেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আদর জেলা বিএনপির এক র্শীষ নেতার দোহাই দিয়ে চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। এর আগে তিনি জেলা ছাত্রলীগনেতা রুজদীর ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি করতেন।
গতকাল শনিবার অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার শামিম আনোয়ারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল নিয়মিত টহল নিয়ে পৌর শহরের আরশিনগর এলাকা ক্রস করছিল। ওই সময় দুজন লোক যানবাহন থেকে চাঁদা তুলছিল। এর কারণ জানতে চায় তারা। সড়ক চলচলরত যানবাহন থেকে চাঁদা তুলতে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা আছে বলেও জানায় তারা। এ ঘটনায় পুলিশ দুই চাঁদাবাজকে আটক করে। তখন ৩০-৩৫ জন লোক অতর্কিত শামিম আনোয়ারের ওপর হামলা চালায়। তারা তাকে কিল-ঘুষি মারা শুরু করে। লাঠি দিয়ে মাথায় আঘত করে। এতে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। ওই সময় তারা দুই চাঁদাবাজকে ছিনিয়ে নেয়। এরপর পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় মামলার পর নরসিংদী মডেল থানা ও ডিবি পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে।
কয়েক দিন আগে নরসিংদীতে সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার শামিম আনোয়ার। এরপর থেকে তাকে বিভিন্ন প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়। একপর্যায়ে তিনি নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তার ওপর যেকোনো সময় হামলার আশঙ্কার কথা জানান।
নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার শামিম আনোয়ারের ওপর হামলার ঘটনায় সদর মডেল থানায় করা মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।