অসাংবিধানিক আবদার মেনে জাতিকে সংকটে ফেলা যাবে না : সালাহউদ্দিন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ মন্তব্য করেছেন, কোনো দলের ‘অবৈধ-অসাংবিধানিক আবদার মেনে জাতিকে সংকটে ফেলা যাবে না।’ দেশের বর্তমান অবস্থা ও কিছু রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের প্রতি ইঙ্গিত করে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক আলোচনা সভায় সালাহউদ্দিন আহমদ এই মন্তব্য করেন।
সব আইন মেনে রাষ্ট্র পরিচালনায় ইচ্ছুক রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, কোনো দলের ‘অরাজনৈতিক, অবৈধ, অসাংবিধানিক যেকোন রকমের আবদার’ মেনে জাতিকে সংকটে ফেলা যাবে না। আমাদেরকে এই সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় থাকতে হবে।
সালাহউদ্দিন আহমদ উল্লেখ করেন, বর্তমান সরকার সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার সরকার— যা প্রধান উপদেষ্টাও বহুবার বলেছেন। এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করেই ভবিষ্যতে রাষ্ট্রকে আইনানুগভাবে আইনের শাসনের রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মুখের কথার চেয়ে বাস্তবে এর প্রতিফলন দেখানোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ভবিষ্যতে রাষ্ট্রে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স প্রতিষ্ঠিত হবে। এই সংস্কারের মাধ্যমে চারটি বিষয় নিশ্চিত হবে— সম্পূর্ণ স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, সম্পূর্ণ স্বাধীন বিচার বিভাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিস্থাপন ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা।
সালাহউদ্দিন নিশ্চিত করেন, ব্যক্তি স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটাতে ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সময়সীমা ১০ বছরে সীমাবদ্ধ করার প্রস্তাব আনা হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলোর পর ভবিষ্যতে দেশে কোনো ব্যক্তি স্বৈরতান্ত্রিকতা বা দলীয় স্বৈরতন্ত্রের উদ্ভব হওয়ার সুযোগ থাকবে না। তিনি আইনজীবীদের এই আইনের শাসনের ‘রক্ষক’ হিসেবে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
পিআর পদ্ধতি হলো ‘পারমানেন্ট রেস্টলেসনেস’
প্রপোর্শনাল রিপ্রেজেন্টেটিভ সিস্টেম (পিআর) বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এটি হলো ‘পারমানেন্ট রেস্টলেসনেস’। নেপালের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলেও সরকার গঠন করতে দীর্ঘ সময় লাগে ও গঠিত সরকারও খুব কম সময় স্থায়ী হয়।
সালাহউদ্দিন প্রশ্ন তোলেন, বাংলাদেশে কারা এই ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে? এর পেছনে দুটি উদ্দেশ্য থাকতে পারে— কিছু সিট (আসন) বেশি পাওয়া ও বাংলাদেশে সবসময় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বজায় রাখা।
সালাহউদ্দিন যুক্তি দেন, বাংলাদেশে অস্থিরতা থাকলে পার্শ্ববর্তী কিছু দেশের সুবিধা হয়, যারা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা চায় না। কারণ, অস্থির পরিস্থিতিতে দুর্বল সরকারের কাছে তারা তাদের সমস্ত দাবি সহজে আদায় করে নিতে পারে।