আসন চাওয়া নিয়ে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের প্রমাণ দাবি জামায়াতের

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এ প্রতিক্রিয়া জানান।
সম্প্রতি ভারতের কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ‘এই সময়’ এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল জামায়াতের বিষয়ে ‘অসত্য, অমর্যাদাকর ও প্রতিহিংসাপরায়ণ’ মন্তব্য করেছেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ হিসেবে এমন বক্তব্য বিশ্বাস করা কঠিন। এই বক্তব্যের সঙ্গে সত্য ও শিষ্টাচারের কোনো মিল নেই। যদি এ বক্তব্য তার হয়ে থাকে, তবে আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
জামায়াতের এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব যদি সত্যিই এমন অভিযোগ করে থাকেন, তাহলে তাকে প্রমাণ দিতে হবে, জামায়াত কার কাছে আসন দাবি করেছে। প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হলে জনসমক্ষে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে।’
অধ্যাপক গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ‘জামায়াত নিজস্ব নেতৃত্বের অধীনে পরিচালিত হয় এবং কারও কাছে আসন চাওয়ার রাজনীতির সঙ্গে দলটির কোনো সম্পর্ক নেই।’ তিনি ফখরুলের ব্যবহৃত ভাষাকে তাচ্ছিল্যপূর্ণ আখ্যা দিয়ে এর বিচার জনগণের ওপর ছেড়ে দেন।
বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আরও উল্লেখ করেন, ‘আমাদের রাজনীতি দেশ ও জনগণের কল্যাণে। আল্লাহর সন্তুষ্টিই আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য। আমরা জনগণের ওপর আস্থা রাখি এবং মহান রবের করুণাতেই ভরসা করি।’
ভবিষ্যতে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য বিএনপি মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানান জামায়াতে ইসলামীর এ নেতা।
এদিকে, বিএনপি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এই সময়’ এ প্রকাশিত দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাক্ষাৎকারটি ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে বলে দাবি করেছে। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএনপি মহাসচিবকে নিয়ে ‘এই সময় অনলাইন’ সাক্ষাৎকারটি ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, যা বিভ্রান্তিকর। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, ভারতের দৈনিক পত্রিকা ‘এই সময়’ এ প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে তিনি এ ধরনের কোনো বক্তব্য দেননি। সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়, যা ভুল ও বিভ্রান্তিকর।