সীমানা পুনর্বিন্যাস নিয়ে ভাঙ্গায় মহাসড়ক অবরোধ, চেয়ারম্যান আটক

নির্বাচন কমিশনের সম্প্রতি গেজেটে নির্বাচন কমিশনের সীমানা পুনর্বিন্যাস নিয়ে ফরিদপুরে দ্বিতীয় দফায় তিন দিনের কর্মসূচি শুরু হয়েছে আজ রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে। পঞ্চম দিনের মতো ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়ন ও হামিরদী ইউনিয়ন দুটি নগরকান্দা উপজেলায় অন্তর্ভুক্ত করায় মহাসড়ক ও রেলপথে গাছ কেটে ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন স্থানীয়রা। মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ থাকায় যাত্রীসহ সাধারণের ভোগান্তি বাড়তে শুরু করেছে।
এদিকে আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে আন্দোলনের অন্যতম নেতা আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিক মিয়াকে আটক করা হয়েছে। গতরাতে নগরকান্দার চাঁদহাট এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে আটক করে বলে নিশ্চিত করেছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের সচিব যুগল কিশোর মল্লিক।
রোববার সকাল থেকে দুটি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী হামিরদী বাসস্ট্যান্ড ও আলগী ইউনিয়নের সুয়াদী বাসস্ট্যান্ডসহ কয়েকটি স্থানে মহাসড়কের রাস্তায় গাছ কেটে ও টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ঢাকার সাথে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। রাস্তা অবরোধ করার কারণে, দুটি মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহন আটকা পড়ে আছে। অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি কাজে ব্যবহৃত গাড়িগুলো ছাড়া অন্য কোন কিছুই তারা যেতে দিচ্ছেন না।
এ সময় অবরোধকারীরা জানান, গত ১১৮ বছর যাবত আমরা ভাঙ্গা উপজেলার সাথে সংযুক্ত রয়েছি। ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলে আমরা ভাঙ্গা উপজেলাবাসী এক আত্মার বন্ধনে এক পরিবার। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সিদ্ধান্ত আমরা মানি না। নির্বাচন কমিশনের এই ভুল সিদ্ধান্ত থেকে যতক্ষণ সরে না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হবে।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ জানান, দুটি মহাসড়কে রাস্তায় গাছ কেটে ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে রেখেছেন স্থানীয়রা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। সম্পতি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে দুটি ইউনিয়ন ভাঙ্গা থেকে নগরকান্দায় যুক্ত হওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে প্রথম দফায় গত ৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার, মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকার সাথে দক্ষিণবঙ্গের পুরোপুরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় অবরোধকারীরা। এতে যাত্রীসহ সাধারণ মানুষ ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হয়। তারা অতি দ্রুত এর একটি সমাধান চান। গতকাল বিকেলে ভাঙ্গার ১২টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা একত্রিত হয়ে এই তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।