ফরিদপুরের আসন পুনর্বিন্যাস : অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি

দিন যতই যাচ্ছে ফরিদপুরের ভাঙ্গার আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করছে। স্থানীয়রা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের গা এড়িয়ে চলার নীতিকে দুষছেন। গত ১১৮ বছর যাবত ইউনিয়ন দুটি ভাঙ্গার সাথে যুক্ত রয়েছে। ফরিদপুর-৪ আসনকে দুটি আসন করার দাবি থাকলেও নির্বাচন কমিশন দুটি ইউনিয়নকে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর দুই আসনের সাথে সংযুক্ত করে। আর এতেই ফুঁসে উঠেছে ওই দুই ইউনিয়নসহ ভাঙ্গার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বাসিন্দারা।
তারা বলছেন, এতদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কর্মসূচি থাকলেও আমরা সামনের রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মসূচিতে যাওয়া ছাড়া আমাদের উপায় নেই।
ভাঙ্গা উপজেলা সর্বদলীয় ঐক্য কমিটি সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল শনিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভাঙ্গা উপজেলার সড়ক ও রেলপথ বন্ধ এবং রোববার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
তারা বলছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি আদায় না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের কর্মসূচি চলতে থাকবে। এতে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার সাথে ঢাকার যোগাযোগ একদম বন্ধ হয়ে যাবে। ভোগান্তিতে পড়বে এই সড়ক দিয়ে যাওয়া-আসা মানুষ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আলগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ম ম ছিদ্দিক মিয়া এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এসময় তিনি বলেন, টানা ৪ দিন হাজার হাজার মানুষ আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সড়ক অবরোধ শুক্রবার বন্ধ থাকবে। শনিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভাঙ্গা উপজেলার সড়ক ও রেলপথ বন্ধ থাকবে। নির্বাচন কমিশন যদি এর মধ্যে ফরিদপুর-৪ আসনে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে পুনর্বহালের ব্যবস্থা না করে তাহলে রোববার ভোর ৬টা থেকে দাবি না মানা পর্যন্ত লাগাতার অবরোধ শুরু হবে।
উল্লেখ্য, ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা ও সালথা) সংসদীয় আসনে যুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এই গেজেট বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে স্থানীয়রা। এরই ধারাবাহিকতায় সড়ক অবরোধ করা হলেও প্রশাসনের আশ্বাসে তা তুলে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত না হলে তারা অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে। তিন দিনের আল্টিমেটাম শেষে ৯ সেপ্টেম্বর আবারও মহাসড়ক অবরোধ করে স্থানীয়রা, যা চলে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।