অপরিকল্পিত নদী খননে সড়ক বিলীন, ঝুঁকিতে ২০০ পরিবার

নাটোরের লালপুর উপজেলার কেশবপুর গ্রামে খলিশাডাঙ্গা নদীতে অপরিকল্পিতভাবে খননের কারণে একটি গ্রামীণ সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে চলাচলের জন্য বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করছেন গ্রামবাসী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত বছর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়ে নদী খনন ও গাইডওয়াল নির্মাণ করে। কিন্তু নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার এবং ব্যাপক অনিয়মের কারণে মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই গাইডওয়ালে ফাটল দেখা দেয়। এরপরও ভেকু দিয়ে অবৈধভাবে নদী থেকে মাটি খনন করে ওয়ালের ফাঁকা জায়গা ভরাট করা হয়, যা ভাঙনের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নদীপাড়ের প্রায় ২০০ পরিবার ভাঙনের শঙ্কায় রয়েছে। ইতোমধ্যে একটি বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। একমাত্র সড়কটি তলিয়ে যাওয়ায় কোনো ছোট যানও গ্রামে প্রবেশ করতে পারছে না। স্থানীয়দের পায়ে হেঁটে প্রায় দেড় কিলোমিটার ঘুরে সড়কে উঠতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাক আহম্মেদ ও আল-আমিন অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা ও দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীদের যোগসাজশে অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএমডিএ’র বড়াইগ্রাম জোনের (লালপুর) উপসহকারী প্রকৌশলী আবুল বাসার বলেন, বর্ষার আগে নিয়মবহির্ভূতভাবে নদী থেকে মাটি খনন করে ওয়ালের ফাঁকা জায়গা ভরাট করা হয়েছিল। বর্ষা শেষে স্থায়ী সমাধানের পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান জানান, প্রকল্পটি বন্ধের বিষয়টি সমন্বয় সভায় আলোচনা করা হবে এবং পৌরসভা থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এর আগে গত ২৭ মে এ বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশের পর বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেয় এবং পরবর্তীতে বাকি কাজ আর শেষ হয়নি।