রাস্তার ইট-বালু নিজ বাড়িতে নেওয়ার অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে রাস্তা নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত ইট ও বালু নিজের বাড়িতে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মনোয়ারা খাতুন নামে একজন নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। মনোয়ারা খাতুন কালীগঞ্জ উপজেলা নিয়ামতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের নারী সদস্য।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায়ের পর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ রনি লস্করকে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রশাসকের দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে ইউনিয়নের সকল উন্নয়ন কার্যক্রম ইউপি সদস্য ও সচিবদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। তবে এসব কার্যক্রম শতভাগ স্বচ্ছভাবে হচ্ছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কয়েকটি ইটের সলিং রাস্তা নির্মাণ করা হয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাস্তার নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত ইট ও বালু নিম্নমানের। অভিযোগ, মনোয়ারা খাতুন রাস্তা নির্মাণের জন্য আনা ইট ও বালু নিজের বাড়িতে নিয়ে গেছেন। সরেজমিনে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তা থেকে আনা ইট ও বালু সেখানে স্তূপ করা আছে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মনোয়ারা খাতুন জানান, রাস্তা ও আমার বাড়ির কাজের জন্য একসাথে ইট-বালু কেনা হয়েছিল। আমার নিজের জন্য কেনা ইট-বালু আমি বাড়িতে নিয়ে গেছি। এজন্য মানুষ ভুল ধারণা করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে নিয়ামতপুর ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন তহবিলের দ্বিতীয় কিস্তির অধীনে ১২ লাখ টাকার বরাদ্দ আসে। বরাদ্দকৃত অর্থে ৬টি প্রকল্প ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়। তবে ইউনিয়ন প্রশাসক এক বছর ধরে অনিয়মিত অফিস করছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
নিয়ামতপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, রাস্তার কাজে আমরা অনিয়ম করছি না। যদি ইউপি সদস্য রাস্তার ইট-বালু নিয়ে থাকেন, তাকে জানালে তিনি তা ফেরত দেবেন। এখানে তেমন কোনো সমস্যা দেখছি না।
প্রশাসক ইমদাদুল হাসান বলেন, ঘটনা শুনে আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। অনিয়মিত অফিস প্রসঙ্গে বলতে গেলে, আমার ওপর বেশ কিছু দায়িত্ব থাকার কারণে এমনটা হয়েছে। তবে আমি প্রতিনিয়ত ইউনিয়ন পরিষদে আসার চেষ্টা করি।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেদারুল ইসলাম জানান, খোঁজ নিয়ে ঘটনাটির সত্যতা মিললে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।