লালন শাহের তিরোধান দিবস ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে ঘোষণা

বাউল সাধক ফকির লালন শাহের তিরোধান দিবসকে (১৭ অক্টোবর) ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
প্রেস সচিব বলেন, ‘ফকির লালন শাহ শুধু একজন গীতিকার বা সংগীতশিল্পী নন, তিনি ছিলেন একজন গভীর জীবনদর্শনের সাধক ও দার্শনিক। তাঁর গান যুগের পর যুগ বাংলার মানুষের অন্তরে সাড়া জাগিয়েছে। লালনের দর্শন সাম্য, মানবপ্রেম ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক হিসেবে আজও আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়।’
শফিকুল আলম বলেন, লালনের সংগীত বাউল সমাজের ভেতর সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং তা গ্রাম থেকে শহর— বাংলার প্রতিটি মানুষের সাংস্কৃতিক চর্চার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। জাতীয়ভাবে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেলে বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোতে লালনচর্চা ও গবেষণা নতুন মাত্রা পাবে বলে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আশা করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রেস সচিব আরও জানান, ‘এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি করবে। লালন আমাদের গ্লোবাল কালচারাল হেরিটেজের অন্যতম সম্পদ।’
উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অন্যান্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব— কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ, চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান ও রক সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়েও আলোচনা হয়। তবে আজকের সভায় চূড়ান্তভাবে কেবল ফকির লালন শাহের তিরোধান দিবসকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।