প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আবাসন সুবিধা বাড়াতে কাজ করছে ডিএনসিসি

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব, আর সে লক্ষ্যেই ডিএনসিসি নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) ডিএনসিসি কনফারেন্স রুমে ‘কমিউনিটি-লেড হাউজিং ফর ক্লিনার কমিউনিটিস’ শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে ডিএনসিসি, কো-হ্যাবিট বাংলাদেশ এবং প্ল্যাটফর্ম অব কমিউনিটি একশন অ্যান্ড আর্কিটেকচার।
অনুষ্ঠানে গাবতলী ও মিরপুরের পরিচ্ছন্নতাকর্মী কমিউনিটির সদস্যরা অংশ নেন। এছাড়া দেশের শীর্ষস্থানীয় নগর পরিকল্পনাবিদ, শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, ওয়াটার এইড, হ্যাবিটেট ফর হিউম্যানিটি, ব্লাস্ট, গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি, ভূমিজ, নগর আবাদসহ বিভিন্ন এনজিও ও আবাসন অধিকার আন্দোলনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম সামসুল আলমসহ ডিএনসিসির সব বিভাগীয় প্রধানও সেমিনারে যোগ দেন।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নগরজীবনের অপরিহার্য অংশ এবং নিরাপদ আবাসন তাদের মৌলিক অধিকার। কমিউনিটি-নেতৃত্বাধীন আবাসন কেবল নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করে না, বরং নগরের আর্থিক, সামাজিক ও স্বাস্থ্যগত উন্নয়নেও ভূমিকা রাখে।
সেমিনারে মিরপুরের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নিজস্ব বসতির ম্যাপিং ও উন্নয়ন পরিকল্পনা উপস্থাপন করে সম্মিলিতভাবে আবাসন সমস্যার টেকসই সমাধানের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
ডিএনসিসি পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে এবং তাদের নিজস্ব প্রচেষ্টাকে সহায়তা করতে বদ্ধপরিকর। কমিউনিটি-নেতৃত্বাধীন কার্যক্রমকে অনুমোদন, উৎসাহ ও সহসৃজনের মাধ্যমে সফল মডেল গড়ে তোলা গেলে তা সারা দেশে বিস্তার লাভ করতে পারে।