পটুয়াখালীতে মৌসুমি সবজির বাম্পার ফলন

পটুয়াখালীর চরাঞ্চল ও বিভিন্ন উপজেলায় এবার মৌসুমি সবজির ফলন হয়েছে ব্যাপক। চলতি মৌসুমে সবজি চাষ করে কৃষকদের অনেকের আর্থিক পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে। উৎপাদনের সঙ্গে বাজার ভালো থাকার কারণে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
বাউফল, গলাচিপা, দশমিনা, মির্জাগঞ্জ, কলাপাড়া, রাঙাবালি এবং দুমকিসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে শীতকালীন ও বারোমাসি সবজির চাষ হয়েছে। বেগুন, ঢেঁড়স, পুঁইশাক, পটল, মিষ্টি কুমড়া, কাঁচকলা, পেঁপে, লাউ, টমেটো, গাজরসহ নানা শাকসবজি ঘরে ও মাঠে ফলেছে।
জেলা কৃষি অফিস জানায়, সদর উপজেলায় ১৮০ হেক্টর জমিতে উৎপাদিত হয়েছে ৩ হাজার ২৪০ মেট্রিক টন সবজি। বাউফলে ২৫০ হেক্টর জমিতে উৎপাদন ৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন, গলাচিপায় ৩৮০ হেক্টর জমিতে ৬ হাজার ৮৪০ মেট্রিক টন, কলাপাড়ায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে ৬ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন সবজি উৎপাদন হয়েছে। দশমিনা, মির্জাগঞ্জ, দুমকি ও রাঙাবালিতেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সবজি ফলেছে। মোট উৎপাদন প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টনের কাছাকাছি।
বাউফলের পাতারপোল গ্রামের আদর্শ কৃষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, তার ৫০ শতক জমিতে নানা সবজি চাষ করে ইতোমধ্যে ১ লাখ টাকার বেশি বিক্রি করেছেন। সবজি বিক্রির টাকায় তার পরিবারে এখন সচ্ছলতা এসেছে এবং সন্তানরাও লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে।
কৃষকরা জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে শীতকালীন ও বারোমাসি সবজি চাষে উৎসাহী হয়েছেন। লাভজনক হওয়ায় অনেকেই বাড়ির আঙিনা ও খামারে সবজি চাষ শুরু করেছেন। বাজারে মিষ্টি কুমড়া ৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কাঁচকলা, বেগুন, পটল, ঢেঁড়স, টমেটোসহ অন্যান্য সবজির দামও ভালো। পাইকারিরা এসব সবজি ক্রয় করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছেন।
বাউফল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মিলন জানান, বন্যা ও বৃষ্টির কারণে গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির চাষ একটু কম হলেও বাজার ভালো থাকার কারণে কৃষকেরা খুশি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহাদাত হোসাইন জানান, জেলায় এ বছর ১ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে এবং মোট উৎপাদন প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে এবং কৃষকদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।