বাউফলে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত

পটুয়াখালীর বাউফলে ডাকাতির সময় গ্রামবাসীর হাতে আটক দুই ডাকাত সদস্যকে গণধোলাই দেওয়া হয়েছে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর এক ডাকাতের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৩ আগস্ট) দিনগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত উজ্জল একই উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আটক অপর ডাকাত সদস্য রাজিবের বাড়ি মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গভীর রাতে ৮-১০ জনের মুখোশধারী স্বশস্ত্র ডাকাতদল প্রথমে ওই গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জলিল জোমাদ্দারের বাড়িতে প্রবেশ করে। পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তারা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে। এরপর ডাকাতদল সেনা সদস্য সোহাগ হাওলাদারের বাড়িতে জানালার গ্রিল কেটে প্রবেশের চেষ্টা চালালে গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে ডাকাতদের ঘেরাও করে।
একপর্যায়ে ডাকাতদলের বেশিরভাগ সদস্য অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পালিয়ে গেলেও গ্রামবাসী ধাওয়া করে রাজিব ও উজ্জলকে আটক করে গণধোলাই দেয়। তবে ডাকাত দলের অন্য সদস্যরা লুট করা মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় বিএনপি নেতা রুস্তুম আলী ফরাজী জানান, আটক দুই ডাকাত নিজেদের নাম রাজিব ও মতিন বলে পরিচয় দিয়েছিল। ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তারুজ্জামান সরকার বলেন, ডাকাতির অভিযোগে আটক দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।