জাপায় বহিষ্কৃতদের নিয়ে নতুন কমিটি

জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে বহিষ্কৃত নেতা-কর্মীদের উদ্যোগে আয়োজিত পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন দলের সাবেক সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন রুহুল আমিন হাওলাদার। এ ছাড়া কাজী ফিরোজ রশিদকে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান এবং মুজিবুল হক চুন্নুকে নির্বাহী চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়েছে।
শনিবার (৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর গুলশানের ইমানুয়েল পার্টি সেন্টারে জাতীয় পার্টির ১০তম জাতীয় কাউন্সিলে উপস্থিত কাউন্সিলরদের সমর্থনে নির্বাচিত হন তারা। কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত নির্বাচন কমিশনের আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম জহির তাদের নাম ঘোষণা করেন।
কাউন্সিল অধিবেশনে জহিরুল ইসলাম জহির চেয়ারম্যান হিসেবে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব হিসেবে রুহুল আমিন হাওলাদার, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ ও নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে মুজিবুল হক চুন্নুর নাম উত্থাপন করেন। পরে বিকল্প কোনো প্রস্তাব না থাকায় এসব পদে তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন তিনি।
জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, চেয়ারম্যান বাকিদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করবেন।
নির্বাচিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘আপনাদের ওয়াদা দিতে চাই, আজ থেকে আর কেউ অন্যায়ভাবে পার্টি থেকে বহিষ্কার হবেন না। যারা পার্টির জন্য কাজ করবেন, তাদের মূল্যায়ন করা হবে। আমরা আদর্শিক রাজনীতি করব ও বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করব।’
নবনির্বাচিত মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘আপনাদের সহযোগিতা পেলে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারব। যারা এই কাউন্সিলে আসেননি তাদেরও জাতীয় পার্টিতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
এদিকে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞার সুযোগে দলের ভেতর নতুন মেরুকরণ তৈরি হয়েছে। জি এম কাদেরের বিরোধী অংশ ৫ আগস্ট এক সভায় দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করে। একই সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে জি এম কাদের যাদের বহিষ্কার করেছিলেন, তাদের সবার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে স্বপদে পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।