৫ আগস্টের পর রাজনীতিতে বড় পার্থক্য দেখা যাচ্ছে : মঈন খান

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, গত বছর ও এই বছরের ৫ আগস্টের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে, যা দেশের পরিবর্তিত বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে।
শনিবার (৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে মানব গবেষণা ও বিশ্লেষণ ফাউন্ডেশন (এইচইউআরএফ) আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লব : গণতন্ত্রের অগ্রগতি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এই মন্তব্য করেন।
গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি ১৯৭৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে টিকে রয়েছে।
ড. মঈন খান মুঘল সাম্রাজ্য ও পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলের প্রতি বৈষম্যের ইতিহাস উল্লেখ করে বলেন, যদিও পাকিস্তানকে পরাজিত করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে, তবে দেশে এখনো সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা থাকতে হয়। গত এক বছরের রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে ও শাসন কাঠামো আবারও গভীর রাজনৈতিক বৈষম্যের ছাপ দেখিয়েছে, যা মুঘল ও পাকিস্তানের শাসনের মতোই ছিল।
বিএনপির এই নেতা একদলীয় রাজনীতির বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন, যখন একটি দল সংসদের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ আসন দখল করে, তখন শাসন ব্যবস্থায় সংকট তৈরি হয়। তিনি হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনামলে হাজার হাজার মানুষের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, আমরা আজ তাদের আত্মত্যাগের কারণে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারছি।
ড. মঈন খান মুক্ত, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, সব প্রধান রাজনৈতিক শক্তির অংশগ্রহণ ছাড়া সংসদে গণতন্ত্র কার্যকর করা সম্ভব নয়। তিনি দাবি করেন, ১৯৭৮ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৫০ লাখের বেশি বিএনপি নেতা, কর্মী ও গ্রামীণ ছাত্র রাজনৈতিক মামলার শিকার হয়েছেন।
সেমিনারে মূল বক্তব্য দেন ঢাকা কলেজের অধ্যাপক আনোয়ার মাহমুদ। এইচইউআরএফ-এর আহ্বায়ক আহমেদ হুসাইন আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন।