রাম্বুটান ফলের বাগান করে যুবকের সাফল্য

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত কপালদাড়া গ্রামে বিদেশি রাম্বুটান ফলের বাগান গড়ে সফল হয়েছেন যুবক আব্দুর রহমান (৩৮)। দেখতে লিচু বা কাঠলিচুর মতো এই ফল পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং দেশের কৃষি জমিতে চাষে লাভজনক প্রমাণিত হচ্ছে।
আব্দুর রহমান বলেন, ৬ বছর আগে মালয়েশিয়ায় থাকাকালীন প্রথম রাম্বুটানের সঙ্গে পরিচয়। দেশে ফেরার সময় বীজ সঙ্গে আনি, কিন্তু সেগুলো দিয়ে চারা তৈরি করতে পারিনি। পরে ২০২০ সালের জুলাইয়ে ফরিদপুর সদর উপজেলার একটি গ্রাম থেকে চারা সংগ্রহ করে বাড়ি সংলগ্ন জমিতে ১০টি গাছ রোপণ করি। প্রথম বছর সীমিত পরিমাণে ফলন হলেও চলতি বছরে প্রত্যেক গাছে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ কেজি ফল হয়েছে।
আব্দুর রহমান আরও বলেন, বর্তমানে প্রতিদিনই বাগানে বিভিন্ন জেলার দর্শনার্থীরা এসে ফল দেখতে আসছেন এবং প্রতি কেজি এক হাজার টাকায় রাম্বুটান বিক্রি হচ্ছে। অনেকেই ফলের বাগান করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন, আর আমি তাদের চারা সংগ্রহ ও চাষাবাদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছি।
স্থানীয় কৃষক মশফিকুর রহমান বলেন, রাম্বুটান দেখতে প্রতিদিন বাগানে নানা বয়সের মানুষ ভিড় করছে এবং ভালো ফলন ও সুস্বাদু হওয়ায় অনেকে চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাপস কুমার রায় বলেন, পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এ ফলটি উপজেলায় নতুন চাষ শুরু হয়েছে। যুবক আব্দুর রহমান এ ফল চাষে সফল হয়েছেন। তার মতো আরও অনেকেই এ ফলের গাছ রোপণ করেছেন। কৃষি বিভাগ থেকে চাষীদের রামবুটান ফল চাষে পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
দিনাজপুর হর্টিকালচার বিভাগের সহকারী পরিচালক জাহিদুর রহমান বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে বেশি চাষ হয়ে থাকে রাম্বুটানের। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও এখন এই ফলের চাষ শুরু হয়েছে এবং আব্দুর রহমানের সফলতা এ ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক। মাটির উপযোগিতা ও লাভজনকতা দেখে বাণিজ্যিকভাবে রাম্বুটান চাষের সম্ভাবনা অনেক।
জাহিদুর রহমান আরও বলেন, হর্টিকালচার বিভাগ জৈব সার ও কম সেচ দিয়ে চারা উৎপাদন ও বাগান সম্প্রসারণে কাজ করছে। এ বছর বেশ কিছু কলম চারা তৈরি করা হয়েছে।