প্রতিবন্ধী দুই ছেলেকে নিয়ে অসহায় মায়ের জীবন যুদ্ধ

একটি জরাজীর্ণ টিনের ঘর, ভাঙা বেড়া আর ছেঁড়া মশারির মধ্যে পড়ে আছে দুই ভাই। শারীরিক ও মানসিকভাবে পুরোপুরি অক্ষম তারা। একজনের বয়স ৩৫, আরেকজনের ৩২। কথা বলতে পারে না, হাঁটতে পারে না, বুঝতেও পারে না। সারাক্ষণ তাকিয়ে থাকে ৬০ বছরের মা মোছা. আলেয়া বেগমের মুখের দিকে, যিনি বয়সের ভার নিয়ে সন্তানদের দেখাশোনা করেন।
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার দুবলিয়া হঠাৎপাড়া গ্রামের এই পরিবারে আয় বলতে বৃদ্ধ ভাতা ও মা-বাবার সামান্য খাটুনি। মাঝে মাঝে আলেয়া বেগম অন্যের বাড়িতে কাজ করেন, সাহায্যের জন্য হাত পাতেন। বাড়িটিও নিজের না- দানের জমিতে ঠাঁই করে থাকা।
বড় ছেলে আলম আলী নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত। তিনি বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। যেটুকু পারি দেই, কিন্তু নিয়মিত কিছু করা সম্ভব না।’
মোছা. আলেয়া বেগম বলেন, ‘ছেলেদের নিয়ে খুব কষ্টে থাকি। মানুষ সাহায্য না করলে কোনোভাবেই চলে না। সরকারি সহায়তা পেলে হয়তো একটু ভালোভাবে বাঁচতে পারতাম।’
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন লিটন জানান, ‘পরিবারটির অবস্থা সম্পর্কে জানি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সহায়তা করেছি, তবে বড় সহায়তা ছাড়া ওদের জীবন পরিবর্তন সম্ভব না।’
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তমিজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবন্ধী ভাতা চালু আছে। তবে অতিরিক্ত সহায়তার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’