গারো পাহাড়ে ইআরটি সদস্য ও বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মানুষ ও বন্যহাতির মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনে ইলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম (ইআরটি) সদস্য ও বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা এবং বন্যহাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (৮ আগস্ট) উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্কে জেলা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জানা যায়, শেরপুরের গারো পাহাড়ি এলাকায় প্রায় দুই যুগ ধরে শতাধিক বন্যহাতি তাণ্ডব চালিয়ে মানুষের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে আসছে। জানমাল রক্ষার্থে ভুক্তভোগী মানুষ বন্যহাতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। কিন্তু এর স্থায়ী কোনো প্রতিকার হচ্ছে না। এ নিয়ে মাঝেমধ্যে মানুষ ও বন্যহাতির মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে। কখনও কখনও মানুষ মারা যাচ্ছে। আবার কখনো বন্যহাতি মারা যাচ্ছে। তাই পরিবেশের ইকো সিস্টেম ও বন্যহাতি রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। যাতে মানুষ ও বন্যহাতি উভয়েরই কোনো ক্ষতি না হয়। সে লক্ষ্যে বন্যহাতির বিচরণ এলাকায় ইলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। তাদের সচেতন করতে ও এলাকাবাসীর জানমাল রক্ষা করতে আজ দিনব্যাপী ইআরটি সদস্য ও বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। একইসাথে বন্যহাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ১৫ কৃষকের মধ্যে তিন লাখ ৯৮ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ চেক বিতরণ করা হয়।
এতে ময়মনসিংহ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ও দুবাই সাফারি পার্কের সাবেক অধ্যক্ষ ডক্টর আলী রেজা খান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় অঞ্চলের বন সংরক্ষক এ এস এম জহির উদ্দিন আকন, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুল মোতালেব।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মাহফুজুর রহমান, একই ফাউন্ডেশনের পরিচালক সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া, শেরপুরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার, মধুটিলা ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী এবং ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জার মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন প্রমুখ।