ফিল্ম সংকটে এক্স-রে সেবা বন্ধ

নাটোরের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফিল্ম সরবরাহ না থাকায় দুই সপ্তাহ ধরে এক্স-রে সেবা বন্ধ রয়েছে। এতে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা পড়ছে চরম ভোগান্তিতে। বাধ্য হয়ে অনেকেই ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বেসরকারি হাসপাতালে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে এক্স-রে করাতে বাধ্য হচ্ছে।
আজ বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, এক্স-রে কক্ষের সামনে নোটিশ টানানো ‘এক্স-রে ফিল্ম সরবারহ না থাকায় এক্স-রে সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে’।
সেখানে অপেক্ষমাণ বেশ কয়েকজন রোগী ও তাদের স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, স্বল্পমূল্যে সেবা পাওয়ার আশায় তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছিল। কিন্তু এক্স-রে ফিল্ম না থাকায় সেবা না পেয়ে বাধ্য হয়ে পাশের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বেশি টাকা খরচ করে এক্স-রে করাতে বাধ্য হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ একটি সেবা বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে গরিব ও নিম্ন আয়ের রোগীরা। কেউ কেউ আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় এক্স-রে না করিয়েই বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
জোতদৈবকী এলাকার মুনজুর রহমান ও চর লালপুরের আজমিরা বেগম বলেন, ডাক্তার এক্স-রে করতে বলার পর এক্স-রে কক্ষে গেলে বলা হলো ফিল্ম নেই। পরে কাছের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে ৮৫০ টাকা দিয়ে এক্স-রে করাতে হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ সংশোধিত পরিপত্রে সরকারি হাসপাতালে ডিজিটাল এক্স-রে করাতে ছোট সাইজ (প্রতি ফ্লিম) ১৫০ টাকা ও বড় সাইজ ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুনজুর রহমান বলেন, বর্তমানে এক্স-রে ফিল্ম মজুদে নেই। লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ফিল্ম পেলে দ্রুত সেবাটি চালু হবে।
সিভিল সার্জন ডা. মুক্তাদির আরেফীন বলেন, ‘নতুন অর্থবছরের বরাদ্দ এখনও আসেনি। বরাদ্দ পেলে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। আশা করছি দ্রুতই এক্স-রে সেবা চালু হবে।’