জুলাই শুধু আন্দোলনের নাম নয়, এটি জাগরণের নাম : শিবির সভাপতি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, গুম, খুন, আয়নাঘর তৈরি করে মুক্তিকামী জনতাকে দমন করতে চেয়েছিল ফ্যাসিস্ট শক্তি। কিন্তু ইতিহাসের অনিবার্য দাবিতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। জুলাই শুধু একটি আন্দোলনের নাম নয়, এটি একটি জাগরণের নাম।
ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ৩৬ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণভবন ফতহের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘জুলাই জাগরণ নব উদ্যমে বিনির্মাণ’ শীর্ষক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫ আগস্ট দুপুরে শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে শাহবাগে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে র্যালির সমাপ্তি হয়। র্যালি শেষে জাহিদুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও মহানগর পূর্বের সভাপতি আসিফ আব্দুল্লাহর যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিবির সভাপতি আরও বলেন, জুলাই ছিল আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লাল কার্ড। যারা বন্যা ও খরার সময়ে পানি বৈষম্য করে, ফেলানীকে হত্যা করে কাটাতারে ঝুলিয়ে রাখে—তারা কখনও আমাদের বন্ধু হতে পারে না। তারা দেশের অভ্যন্তরে গোয়েন্দাগিরি করে আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য চরম হুমকি সৃষ্টি করছে।

শিবির সভাপতি আরও বলেন, একটি শ্রেণি আন্দোলনে অংশ নিয়ে এখন ক্রেডিট নেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই—এই আন্দোলন কোনো একক দল বা ব্যক্তির নেতৃত্বে হয়নি। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক শক্তি এবং সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটসহসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মু’তাসিম বিল্লাহ শাহেদী, ছাত্র অধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম, শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পাদক হাফেজ আবু মুসা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি এস এম ফরহাদ, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি রেজাউল করিম শাকিল, মহানগর পশ্চিম সভাপতি হাফেজ আবু তাহেরসহ কেন্দ্রীয়, বিশ্ববিদ্যালয় ও মহানগরের নেতারা।