নির্বাচন কমিশন দলীয়করণ হয়েছে, উদ্দেশ্য ভালো নয় : নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, নতুন বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনকে দলীয়করণ করা হয়েছে, গণঅভ্যুত্থানের পর নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না। খুনি ফ্যাসিস্ট বাহিনীর প্রতীক এখনও নির্বাচন কমিশন প্রতীকের তালিকায় রেখে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্য কিন্তু ভালো নয়। বাংলাদেশের জনগণকে এখন আর বোকা বানানো যাবে না।
দেশব্যাপী জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবেন মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাতে বরিশালে পথসভায় বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে রাত ৯টায় ভোলা থেকে বরিশাল নগরীর হাসপাতাল রোডে আইন মহাবিদ্যালয় এলাকায় এসে পৌঁছান এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে তখন তাদের অপেক্ষায় ছিল বরিশাল জেলা ও মহানগর এনসিপির বিপুল নেতাকর্মী। মিছিলসহ তারা কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে হেঁটে আসেন প্রায় এক কিলোমিটার দূরে থাকা পথসভার নির্ধারিত স্থান ফজলুল হক অ্যাভিনিউয়ে। যেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল দলের কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক। কেন্দ্রীয় নেতারা এ সময় রাস্তার দুই পাশে অপেক্ষমাণ সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ছাড়াও পদযাত্রায় অংশ নেন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনুভা জাবিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সরোয়ার নিভা, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসানাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সাকিব মাহাদী, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দিনা, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) ডা. মাহমুদা আলম মিতু, কেন্দ্রীয় সদস্য সানাউল্লাহ, হাসিব আর রহমান, আল আমিন টুটুল প্রমুখ।
রাত সাড়ে ৯টার পর শুরু হওয়া পথসভা সঞ্চালনা করেন সারজিস আলম। নাহিদ ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নাগরিকের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার জন্য ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ঘোষণা করেছি। গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা বলেছিলাম ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ করতে হবে। নতুন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু আমরা দেখছি রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে রক্তের দাগ লেগে রয়েছে। আমরা দেখছি নিজেদের মধ্যে অন্তর্কোন্দল। খুনা-খুনি করছে, সবার হাতেই রক্ত লেগে আছে। আমরা রাজনৈতিক সহিংসতামুক্ত সংস্কৃতি দেখতে চেয়েছিলাম। চাঁদাবাজি, দুর্নীতিমুক্ত দেশ দেখতে চেয়েছিলাম। কোনো দলের সহিংসতাই আর আমরা মেনে নেব না।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, আগামী ৩ আগস্ট ঢাকার শহীদ মিনারে আমরা জড়ো হচ্ছি। সারা বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির ইশতেহার নিয়ে। জুলাই ঘোষণাপত্র এবং সনদ আদায়ের লক্ষ্যে। ইনশা আল্লাহ এনসিপি রাজপথে নেমেছে, কোনো হুমকি ধমকি বাধা বিপত্তি দিয়ে এই গণজোয়ার থামানো যাবে না। প্রতিটি জেলা উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি তথা তরুণদের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এই জোয়ার রুখবে কারো সাধ্য নেই। আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, ৫ আগস্ট আমাদের লক্ষ্য ছিল গণভবন, এবার আমাদের লক্ষ্য সংসদ ভবন। দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ইনশা আল্লাহ আমরা বিজয় অর্জন করব।