নোয়াখালীতে ৪১ হাজার পরিবার পানিবন্দি

নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে উজানের পানি ও ফেনীর মুহুরি নদীর পানি নিয়ে নতুন শঙ্কায় পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, এভাবে পানি চাপ থাকলে চলতি বর্ষায় আবারও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রশাসন বলছে, চলমান বন্যায় কিছু এলাকায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। তবে অধিকাংশ এলাকায় এসব সাহায্য এখনও পৌঁছেনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানান, নোয়াখালী সদরে ১৪টি, কোম্পানীগঞ্জে ৯টি, কবিরহাটে ৮টি, সুবর্ণচরে ৫টি, সেনবাগে ১০টি ও হাতিয়ায় ১১টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় মোট ৪১ হাজার ৮৪০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ২ লাখ ৩ হাজার ১০ জন। এসব বন্যাকবলিত এলাকায় আংশিক ও সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪১টি বাড়িঘর। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
চলমান বন্যায় ৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে, যেখানে ১ হাজার ৪১৯ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে ৫১টি মেডিকেল টিম গঠন করা হলেও বর্তমানে ২৯টি টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত কমে ৬৫ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ফেনী জেলার সিলোনিয়া নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। তবে সুরের বাজার পয়েন্টে এখনও বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। নোয়াখালীর দক্ষিণাঞ্চলে মুহুরি নদীর পানি সামান্য কমলেও পরশুরাম পয়েন্টে তা বিপৎসীমার ২৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।