নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, এবার সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) আর কোনো নির্বাচনে ব্যবহার হবে না।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকাল ১১ টার পরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে কমিশনের সভা হয়। চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে বিকেলে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার মো. সানাউল্লাহ।

শুরু থেকে প্রবাসীদের ভোটের আওতায় আনার ব্যাপারে প্রক্সি, অনলাইন ও পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করে কমিশন। এ তিন পদ্ধতিতে ভোট করার পরিকল্পনা কষেছিল ইসি। কিন্তু বৃহস্পতিবার কমিশন সভায় পোস্টাল ব্যালটের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।

প্রবাসীদের ভোটিাধিকারের বিষয়ে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, অনলাইন নিবন্ধনের জন্য একটি প্রকল্প নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে অনলাইনে নিবন্ধন করলে ইসি সরাসরি পোস্টাল ব্যালট সংশ্লিষ্ট ভোটারের কাছে পাঠাবে। ভোটদান শেষে তা সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় রিটার্নিং অফিসারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।

নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ বলেন, প্রবাসীদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোট হবে, এবার হবে আইটি সাপোর্টেড; এ জন্য আগেই অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, প্রবাসীদের এ ভোটাধিকারের জন্য ইসির প্রায় ৪৮ কোটি টাকা সম্ভাব্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে। ব্লাংক ব্যালটের মতো একটি বিকল্প নিয়েও ভাবা হচ্ছে।

আবুল ফজুল মো. সানাউল্লাহ বলেন, একটা প্রস্তাব আছে সাথে সাথেই ব্যালট প্রিন্ট করা হবে, আরেকটা প্রস্তাব হচ্ছে ব্ল্যাংক ব্যালট। সেখানে প্রার্থীর নাম লিখে ভোটার পাঠিয়ে দেবে। আমরা যদি মার্কা ব্যালটে ছাপিয়ে দুই মাস আগে ব্যালট পাঠাই যাতে মার্কায় ভোট দিয়ে দেয়। এসব প্রস্তাব আছে। প্রবাসী ভোটারদের জন্য রেজিস্ট্রেশনের জন্য আলাদা প্রকল্প হবে-আমরা ট্রায়াল প্রসেসে যেতে পারবো।

বর্তমান ইসি দায়িত্ব নেওয়ার পর জানিয়েছিল সংসদ নির্বাচনের ইভিএম ব্যবহার করা হবে না। বৃহস্পতিবার নতুন করে স্থানীয় নির্বাচনের বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসে।

আবুল ফজুল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ইভিএম আর কোনো নির্বাচনেই ব্যবহার হবে না। এজন্য পৃথক কমিটি গঠনের মাধ্যমে ইভিএমের বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে।

জানা গেছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, নির্বাচন কর্মকর্তা বিশেষ আইন, হলফনামা, ইসি সচিবালয় আইন, পোস্টাল ব্যালট, ইভিএম, দল নিবন্ধন অগ্রগতি, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, সীমানা নির্ধারণসহ সার্বিক ‍বিষয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ আমলে নিয়ে তা বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছে ইসি।