নওগাঁয় এসে বিয়ের পিঁড়িতে মালয়েশিয়ার তরুণী

দেশ ভিন্ন। ভাষাও আলাদা। বড় হয়েছেন পৃথক সংস্কৃতিতে। এমন অনেক অমিল থাকা সত্ত্বেও এক হয়েছেন ভালোবাসার টানে। প্রথমে পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব। তারপর প্রেম। শুধু তাই নয়, নিজের জন্মভূমি ছেড়ে বাংলাদেশের নওগাঁয় এসে প্রেমিক জামিল হোসেনের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন মালয়েশিয়ার তরুণী নাজিয়া বিনতে শাহরুল হিজাম। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ভিনদেশি এই নববধূকে দেখতে ভিড় করেছেন স্থানীয়রা।
জামিল হোসেন বদলগাছী উপজেলার বিলাশবাড়ি ইউনিয়নের বিলাশবাড়ি গ্রামের কালাম হোসেনের ছেলে। তিনি মালয়েশিয়া প্রবাসী। আজ শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে জামিলের বাড়িতেই জাকজমকমভাবে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জামিল-নাজিয়ার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার জামিল হোসেনের (২৪) সঙ্গে মালয়েশিয়ার একটি শপিংমলে তিন বছর আগে নাজিয়া বিনতে শাহরুল হিজামের (২৪) সাক্ষাৎ হয় এবং পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। গত (৩০ জুন) তারা বাংলাদেশে আসেন।

এ নিয়ে জামিল হোসেন জানান, ২০১৭ সালের শেষের দিকে মালয়েশিয়ায় যান তিনি। সেখানে জহুরবারু মোয়ার থানা এলাকায় একটি ফার্নিচার দোকানে চাকরি করতেন তিনি। পাশেই একটি শপিংমলের দোকান ছিল। সেখানে জামিল প্রায়ই কেনাকাটা করতে যেতেন। একপর্যায়ে নাজিয়া বিনতে শাহরুল হিজামের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেই পরিচয় থেকে ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। পরে নাজিয়া বিনতে শাহরুল হিজাম তার পরিবারকে জামিলের সম্পর্কে জানান। প্রথমে নাজিয়া বিনতে শাহরুল হিজামের বাবা- মা সম্পর্ক নিয়ে একটু মনঃক্ষুণ্ণ ছিলেন। পরে পরিবারের সম্মতিতে মালয়েশিয়ায় তিনি নাজিয়া বিনতে শাহরুল হিজাম বিয়ে করেন। এরপর বাংলাদেশে আজ শুক্রবার ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক তাদের আবারও বিয়ে হয়। ছুটি শেষে আবার তারা মালয়েশিয়ায় ফিরে যাবেন।
তরুণী নাজিয়া বিনতে শাহরুল হিজাম বলেন, ‘আমি জামিলকে অনেক বেশি ভালোবাসি। বাংলাদেশে এসে খুবই ভালো লাগছে।’ তিনি জানান, জামিল হোসেনের পরিবারের সদস্যরা তাকে মেয়ের মতো গ্রহণ করেছেন। এ ছাড়া এলাকার মানুষের সঙ্গে খুব সহজেই মিশতে পেরে ভাবছেন অনেক আগে থেকেই তাদের সঙ্গে পরিচয় আছে। পাশাপাশি এখানকার খাবার তার খুব পছন্দ হয়েছে।

জামিলের মা হালিমা খাতুন বলেন, ‘উভয় পক্ষের সম্মতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। ছেলের বউ হিসেবে তাদের খুব পছন্দ হয়েছে। বাড়িতে আসার পর থেকে সবার সঙ্গে মিলেমিশে চলছে। বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করছে। তাকে দেখতে বাড়িতে ছুটে আসছেন প্রতিবেশীরা। বউ দেখে এলাকাবাসীও প্রশংসা করছে।’