সাবেক পৌর মেয়রকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

যশোরের কেশবপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়লকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে ছাত্র-জনতা। আজ বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে তাঁকে কেশবপুর পৌর শহরে তাঁর ভাগ্নের বাড়ি থেকে ধরে পুলিশের দেয় তারা।
হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় উত্তেজিত জনতা রফিকুল ইসলাম মোড়লকে জুতা ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত থানায় নিয়ে যায়।
কেশবপুর থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, আজ দুপুরে ছাত্র-জনতা খবর পেয়ে কেশবপুর পৌর শহরের ভোগতিনরেন্দ্রপুর (ভবানীপুর) গ্রামে রফিকুল ইসলামের বাড়ি প্রায় আড়াই ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখে। এ সময় তাঁর বাহিনীর ৮-১০ জন সদস্য ছাত্র-জনতার উপর হামলা করে। এই সুযোগে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে পাশে ভাগ্নে আওয়ামী লীগনেতা মিলনের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ সেখানে জড়ো হয়ে রফিকের আটকের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ও জনতা ওই বাড়ি থেকে তাকে আটক করে। এ সময় জনতা তার ওপর হামলা চালায়।
এলাকাবাসী জানায়, রফিক মোড়ল এলাকায় চাঁদাবাজি, জমি দখল, ঘের দখলসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর তিনিও পালিয়ে যান। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। এ খবর পেয়ে জনতা আজ তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে তাকে আটক করে।
কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগনেতা ও সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়লকে ছাত্র-জনতা আটক করে পুলিশে দিয়েছে। তিনি সন্ত্রাসী জামাল ও মাহবুব বাহিনীর গডফাদার। তার নামে চাঁদাবাজি সন্ত্রাসসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।