ভোটে ৪.৮ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে জাপান

জাপান অবাধ, স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনে ৪ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে। বুধবার (২ জুলাই) নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও ইউএনডিপি উদ্যোগে নেওয়া ব্যালট প্রকল্পে এই অর্থ দেবে বলে জানায় দেশটি।
নির্বাচন ভবনে জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন— প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন ও জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ব্যুরোর মহাপরিচালক ইশিজুকি হিদেও।
এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক ও কারিগরি কার্যক্রম পরিচালনার দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য জাপান ৬৯৫ মিলিয়ন জাপানি ইয়েন (প্রায় ৪.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) অনুদান দিয়ে সহায়তা করবে।
প্রকল্পটির লক্ষ্য ভোটার ও নাগরিক শিক্ষা জোরদার করা। নারী, যুবসমাজ ও সমাজে প্রতিনিধিত্ব কম এমন গোষ্ঠীর বৃহত্তর অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা। সেই সঙ্গে পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া জুড়ে স্বচ্ছতা ও সততা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন জাপানের এই সহযোগিতাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এই চুক্তি আমাদের কার্যব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে ও জনসাধারণের আস্থা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে নির্বাচন আয়োজনে সহায়তা করবে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি বলেন, বাংলাদেশ এখন গণতান্ত্রিক যাত্রায় এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে। জাপান বাংলাদেশের নিজস্ব অধিকারকে সম্মান জানায় ও একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে দেশটির শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক রূপান্তরের প্রচেষ্টাকে পূর্ণ সমর্থন করে। আমরা আশা করি ইউএনডিপির মাধ্যমে জাপানের এই সহায়তা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার জাপানের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জাপান সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে ও তাদের সহায়তা খুবই উদার। লিলার আরও বলেন, জাপানের এই সাহায্য বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে নতুন শক্তি দেবে। এই নির্বাচন জনগণের সত্যিকারের ইচ্ছা প্রকাশে সহায়ক হবে, যা আমাদের সবার একটি যৌথ লক্ষ্য।