চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধীদের থানা ঘেরাও

চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার (২ জুলাই) সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা পটিয়া থানার সামনে জড়ো হয়ে থানা ঘেরাও করেন এবং ওসি জায়েদ নুরের পদত্যাগের দাবি জানান। পরে সমাবেশ, বিক্ষোভ ও নানা কর্মসূচি পালন করেন তারা। বিক্ষোভকারীরা জানান, হামলাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করলে সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য রিজোয়ান সিদ্দিকীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা পটিয়া শহীদ মিনারে ‘জুলাই দিবস’ উপলক্ষে মোমবাতি প্রজ্বালন শেষে থানার মোড়ে অবস্থান নেন। সেখানে তারা রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগনেতা দীপংকরকে দেখে তাকে ঘিরে স্লোগান দেন এবং পুলিশে হস্তান্তর করেন। দীপংকরকে থানায় সোপর্দ করার পরও পুলিশ তাকে আটক না করায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এর জেরে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিতভাবে লাঠিচার্জ চালায়। রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা থানার সামনে প্রতিবাদে যোগ দেন। তখনও পুলিশ মারমুখী অবস্থান নেয় এবং রাতভর ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত ছিল যে মনে হচ্ছিল ২৪ জুলাইয়ের দমন-পীড়নের চিত্র যেন ফিরে এসেছে।
পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. এমদাদ হোসেন বলেন, রাতেই আমরা ১৪ জন আহত শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দিয়েছি। পরে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়।
ঘটনার বিষয়ে জানতে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জায়েদ নুরকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, পটিয়ার একাধিক মামলায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের অর্থের বিনিময়ে গত আট মাসেও গ্রেপ্তার করেননি।