বায়ুদূষণে শীর্ষ পাঁচ শহরের দুটিই ইন্দোনেশিয়ার, ঢাকার উন্নতি

বর্ষা মৌসুম শুরু হতেই ঢাকার বাতাসে লক্ষণীয় উন্নতি হয়েছে। বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ শহরগুলো থেকে অনেক দূরে থেকে তালিকার বেশি নিচে অবস্থান করছে বাংলাদেশের রাজধানী। গত কয়েকদিন ধরেই ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর শ্রেণি থেকে ভালো অবস্থায় রয়েছে।
বুধবার (২৫ জুন) সকাল ৯টার দিকে ১৮৩ একিউআই সূচক নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষস্থান অধিকার করে ছিল কঙ্গোর কিনশাসা। এরপরই ছিল ইন্দোনেশিয়ার দুই শহর—জাকার্তা ও মেদান। শহরদুটির একিউআই স্কোর যথাক্রমে ১৭৭ ও ১৬৬।
শীর্ষ পাঁচের অপর দুই শহর হচ্ছে ভারতের দিল্লি ও পাকিস্তানের লাহোর। দিল্লির স্কোর মেদানের মতোই ১৬৬ এবং লাহোরের ১৬০।
শীর্ষ এই পাঁচ শহরের বাতাসই এদিন ‘অস্বাস্থ্যকর’। একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’বলে বিবেচিত হয়। তালিকার পরের বেশ কয়েকটি শহরের মান ছিল একটু ভালো, অর্থাৎ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’।
কণা দূষণের এই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ও ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
ঢাকার কী অবস্থা
গত কয়েকদিনের মতো আজও ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ‘মাঝারি’পর্যায়ে। এই সময়ে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৬৮। একিউআই সূচক ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে সেটি ‘মাঝারি’বলে গণ্য করা হয়। আর ৫০ বা তার কম হলে তা ‘ভালো’হিসেবে বিবেচিত হয়।
এই সময় দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় ৩১তম স্থানে অবস্থান করছিল ঢাকা। দুদিন আগে যা ছিল ২১ এবং গতকাল ছিল ২৬। অর্থাৎ গত তিন দিন ধরে একটু একটু করে উন্নতি হয়ে চলেছে ঢাকার বায়ুমান।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যানসার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।