ঢাকার বায়ুমানে আজ ভোরের বৃষ্টির প্রভাব

ভোর থেকে মুষলধারে বৃষ্টিতে রাজধানীতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। সকালে রাস্তাঘাটে জমা হাঁটু-সমান পানি পেরিয়ে, মাথায় ছাতা নিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটতে দেখা গেছে কর্মব্যস্ত মানুষদের। তবে বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট দুর্ভোগের সঙ্গে কিছুটা স্বস্তির খবর হলো—আজ ঢাকার বাতাসে লক্ষণীয় উন্নতি দেখা গেছে। শহরটির বাতাসের মান আজ ‘ভালো’।
আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ২২। এই স্কোর ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে সেটিকে ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়।
তাই বৃষ্টির কারণে আজ রাজধানীবাসীকে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হলেও, নিশ্বাস নিতে পারছেন তারা স্বাস্থ্যকর বাতাসে। টানা কয়েকদিনের তীব্র গরমে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রাও বেড়েছিল।
গতকাল সকাল ১০টার দিকে ১৭২ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠেছিল ঢাকা। তবে বৃষ্টির প্রভাবে আজ স্বাস্থ্যকর বাতাস নিয়ে তালিকার ১০৫তম স্থানে নেমে এসেছে নগরী।
সেদিক থেকে আজ বৃষ্টি ইতিবাচক হলেও, জলাবদ্ধতার কারণে ঢাকার মানুষদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে, তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির একিউআই স্কোর ১৬৮। অন্যদিকে ১৬৩ ও ১৪০ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা ও ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে গণ্য হয়। ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে—বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।