বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে গাজীপুরের গাছা এলাকায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা তিনটি আলাদা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন আদালতে হাজির করা হয়।

আজ রোববার (২২ জুন) সকাল ১০টায় মেট্রোপলিটন আদালত-৩ এর বিচারক ওমর হায়দারের আদালতে তাদের হাজির করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।

আদালতের বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গাছা থানায় হওয়া নতুন একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে (শ্যোন অ্যারেস্ট) পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালত সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গাছা থানা এলাকায় সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হন। ওই ঘটনায় গাছা থানায় পৃথক তিনটি হত্যা মামলা হয়। এই মামলাগুলোর একটি নবীন তদন্তাধীন মামলায় চার হাই-প্রোফাইল রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।

আজ সকালেই তাদের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে আনা হয়। আদালতে হাজিরের সময় আদালতপাড়ায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন আদালতের পরিদর্শক আহসান উল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সকাল ১০টায় তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক শুনানি শেষে নতুন একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’

গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আসামিদের নিরাপত্তা দিয়ে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

এই ঘটনায় রাজধানী ও বিভিন্ন জেলায়ও গ্রেপ্তারের সংখ্যা বাড়ছে। ঢাকায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের পাঁচ নেতা, নাটোরে ১৭ নেতাকর্মী এবং বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলন চলাকালীন সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনায় আরও নতুন মামলা হতে পারে এবং উচ্চপর্যায়ের রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধেও তদন্তের পরিধি বাড়ানো হচ্ছে।