মঙ্গলবারও সচিবালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা

সচিবালয়ের আন্দোলনরত কর্মচারীরা আগামীকাল মঙ্গলবারও (১৭ জুন) বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন। তারা আলোচনার আমন্ত্রণ না পেলে নতুন দাবি যুক্ত করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নতুন ভবনের নিচে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম এসব কথা জানান।
নুরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ বাতিলের দাবিতে আমরা মাঠে ময়দানে ঘুরছি। ক্যাডার সার্ভিস থেকে অনেকেই আন্দোলনে নেমে গেছেন। আমরা একটা জিনিস বুঝে গেছিন সরকার আমাদের সঙ্গে সাপলুডু খেলা খেলছে।’
সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের এ নেতা বলেন, ‘কারও সাথে কথা না বলে এই কালো অধ্যাদেশ তারা গোপনে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পাস করিয়ে আনল। এই কাজের সাথে যারা জড়িত ছিল, আমরা তাদের ধিক্কার জানাই। একইসঙ্গে ঘৃণাভরে এই সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ প্রত্যাখ্যান করেছি। সরকারকে এই সাপলুডু খেলা বন্ধ করতে হবে।’
নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের আগে এ অধ্যাদেশ নিয়ে যখন সম্মেলন করেছিলাম, তখন সরকার আবার বিশেষ প্রণোদনা, ভাতা দিয়েছেন। সেটা আসলে ফাঁকিবাজি ভাতা। এর মাধ্যমে সরকার আবার প্রতারণা করেছে আমাদের সঙ্গে। একটা শেষ না হতেই আরেকটা শুরু করে দেয়। এজন্যই অনেকেই বলেছেন, এগুলো বিশেষ সুবিধা নয়, বিশেষ প্রতারণা। আমরা এ বিশেষ প্রণোদনা মেনে নেব না।’
নুরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘যদি আমাদের কথায় কান না দেন, তাহলে আমরা বিভাগীয় পর্যায়ে সম্মেলন ডাকতে বাধ্য হব। প্রজ্ঞাপনে বলা আছে, অধ্যাদেশ জারির আগে আমাদের সাথে আলোচনা করতে হবে। এ পর্যন্ত আমরা কেউ কোনো আলোচনার প্রস্তাব পাইনি। তাহলে প্রজ্ঞাপন জারির মধ্যেও লুকোচুরি আছে। আজ আমরা রোদে পুড়ে আন্দোলন করছি, আপনারা এসিতে বসে আছেন।’
কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা শুধু দেখতে চাই, এ অধ্যাদেশ বাতিল হয়েছে। আমরা সংশোধন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন বুঝি না। আমরা শুধু বুঝি, এ অধ্যাদেশ বাতিল করতে হবে। আমাদের পিছু হটার কোনো সুযোগ নাই। আজ আমরা গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেব। আর আগামীকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ের বাদাম তলায় বেলা ১১টায় জমায়েত হব। প্রতিটি মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা আলাদা মিছিল নিয়ে আসবেন। যদি না আসেন, তাহলে ধরে নেব তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর। এরপর যদি আমরা আলোচনার আমন্ত্রণ না পাই, তাহলে আমাদের দাবির সঙ্গে নতুন নতুন দাবি যুক্ত হবে।’
নুরুল ইসলাম বলেন, ‘এ অধ্যাদেশ বাতিল করলে আমরা নীরবে ঘরে ফিরে যাব। যদি আমাদের আগুন জ্বালিয়ে আপনারা খেলা করতে চান, তাহলে আমরা এমন খেলা খেলব আপনারা ঘরে ঢুকতে পারবেন না। আপনারা সে কাজ করতে বাধ্য করবেন না।’